আচমকাই তাঁর গাড়িতে সওয়ার দুই যুবক, এক তরুণী। পিছনের আসনে তরুণীর সঙ্গে এক যুবক বসেন। চালকের পাশে অন্য যুবক। তাঁদের নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর পরেই আবিষ্কার, পিছনের আসনে বসা যুবক খুন হয়ে গিয়েছেন! খুনি কে? সেইটাই এখন রহস্য! ভেদ করবে কে?
দেবলীনাকে প্রশংসায় ভরালেন শিবপ্রসাদ, কেন?
১২ মার্চ, রাত সাড়ে ৯টা। বৃষ্টিভেজা রাতে রাস্তা জনহীন। তবু যাত্রীর প্রতীক্ষায় ফুটপাথ ঘেঁষে ট্যাক্সি নিয়ে দাঁড়িয়ে চালক সুমিত ঘোষাল। আচমকাই তাঁর গাড়িতে সওয়ার দুই যুবক, এক তরুণী। পিছনের আসনে তরুণীর সঙ্গে এক যুবক বসেন। চালকের পাশে অন্য যুবক। তাঁদের নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর পরেই আবিষ্কার, পিছনের আসনে বসা যুবক খুন হয়ে গিয়েছেন! খুনি কে? সেই তরুণী?
অরিন্দম শীলের ‘তিরন্দাজ শবর’-এর প্রচার ঝলক মুক্তি পেতেই রহস্যপ্রেমীদের মনে উঁকি দিচ্ছে প্রশ্ন। খুনের তদন্তের দায়িত্বে লালবাজার গোয়েন্দা অফিসার শবর দাশগুপ্ত। তাঁর সন্দেহের তালিকায় সুমিতের পাশাপাশি আরোহী রুমকি। ঝলকে আরও দেখা গিয়েছে, আস্তে আস্তে চালক সুমিতেরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে সে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবলীনা কুমার। চালকের ভূমিকায় নাইজেল আকারা। খুনের পাশাপাশি এই ঘনিষ্ঠতা কি চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য? নাকি চিত্রনাট্য মেনে প্রেমও হবে?
দেবলীনার কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘শুধু নাইজেল নন, পর্দায় আরও অনেকেরই ঘনিষ্ঠ আমি। সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য। এক্ষুণি সব ফাঁস করা সম্ভব নয়। তা হলে দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।’’ একই সঙ্গে দেবলীনার দাবি, রহস্যের পাশাপাশি প্রচুর স্তর রয়েছে তাঁর অভিনীত ‘রুমকি’ চরিত্রে। তার উপরে ‘শবর’-এর মতো জনপ্রিয় রহস্য রোমাঞ্চ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে প্রথম কাজ করলেন তিনি। সব মিলিয়ে দারুণ উত্তেজিত অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, ‘তিরন্দাজ শবর’-এ তাঁর অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত স্বয়ং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন ‘টনিক’ ছবির পরিচালক অভিজিৎ সেন।
অরিন্দম শীল-শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় জুটির সঙ্গেও দেবলীনার এই প্রথম কাজ। কতটা চাপে ছিলেন তিনি? শ্যুটের আগে বেশ ভয়ে ভয়ে ছিলেন, অকপটে জানিয়েছেন পর্দার ‘রুমকি’। শ্যুট করতে গিয়ে সেই অনুভূতি অবশ্য বদলে গিয়েছে। অভিনেত্রী দেখেছেন, ভীষণ ঠান্ডা মাথার পরিচালক অরিন্দম। প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটুও খাটান না কাউকে। ব্যবহারে, কথায়, কাজে দারুণ ঝকঝকে। আর ‘শবর’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই নিয়ে তিনটি ছবিতে কাজ করলেন। অভিনেত্রীর মতে, ‘‘অপুদা অবসরে এত আড্ডা দেন যে, মোবাইল ঘাঁটার কথা ভুলে যান সবাই।’’