শ্রীলেখা মিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
এক দিকে পরিবেশ দূষণের ভাবনা তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে অনবরত। অন্য দিকে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র ছাড়া এক মুহূর্তও টিকে থাকা দায় হয়ে উঠেছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের। এ ছাড়াও তাঁর প্রিয় পোষ্যেরা আছে। তারাও ঠান্ডা ছাড়া মোটে থাকতে পারে না। তাই ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্রের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল অভিনেত্রী। তাঁর ১১ তলার ফ্ল্যাটের চারটে ঘরেই সর্ব ক্ষণ চলছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। মাসের শুরুতে ইলেকট্রিকের বিল হাতে পেতেই মাথায় হাত অভিনেত্রীর। ফেসবুকে লিখলেন, “এই মাসে ইলেকট্রিকের বিল এসেছে মাত্র ৯,৭৪০ টাকা।”
একটি বাড়িতে চারটে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র প্রতি দিন চললে কি এত টাকা বিল আসা স্বাভাবিক? আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীলেখা বলেন, “মানছি আমাদের বাড়িতে অনেক ক্ষণ এসি চলে, কিন্তু তা বলে প্রায় ১০ হাজার টাকা বিল আসা অস্বাভাবিক। আমি এর আগেও দিয়েছি পাঁচ হাজার, ছ’হাজার টাকা বিল। তা বলে এই টাকাটা আমি ভাবতে পারছি না। আমার তো কোনও বড়লোক বয়ফ্রেন্ড নেই যে টাকা দিয়ে যাবে আমায়। আমি অবিলম্বে কোম্পানিতে অভিযোগ জানাব।”
অভিনেত্রীর পোস্টে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেউ তাঁর সুরেই মিলিয়েছেন সুর। কেউ আবার শ্রীলেখার ন্যায্য বিল এসেছে বলেই দাবি করেছেন। তবে শুধু শ্রীলেখা নয়, গত বছরও গ্রীষ্মকালে এমন অনেক অভিযোগ এসেছিল ইলেকট্রিকের বিল নিয়ে। রেগে টুইটারে পোস্টও করেছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। এই অভিযোগ অনেক অভিনেতাই বার বারই তাঁদের সমাজমাধ্যমের পাতায় করে এসেছেন। বিলের এই মোটা অঙ্ক দেখে ক্ষুব্ধ শ্রীলেখা। অভিনেত্রীর লক্ষ্য, সংস্থায় অভিযোগ জানিয়ে নিজের সমস্যার সমাধান করা। সদ্য তথাগত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘পারিয়া’ ছবির শুটিং শেষ করেছেন শ্রীলেখা। প্রযোজক পেলেই নিজের পরিচালনার কাজ শুরু করবেন অভিনেত্রী।