লড়াই জারি ঐন্দ্রিলার ফাইল চিত্র।
রক্তচাপ স্বাভাবিক। দেহে অক্সিজেনের মাত্রা স্থিতিশীল। স্নায়ুও সক্রিয়। অতল ঘুম পাতলা হয়ে আসছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। সোমবার সুখবর এল হাসপাতাল সূত্রেই। তবে কি এ বার চোখ মেলবেন অভিনেত্রী? চিকিৎসকরা জানালেন, ইতিমধ্যেই সাড় ফিরেছে কিছুটা। অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে। ইনফেকশন কমছে। ঐন্দ্রিলার শরীরের বাঁ দিক আগের মতো আর নেতিয়ে নেই। তবে এখনও বিপদ কাটেনি। ওষুধের ঘোরে ঘুমিয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী। চিকিৎসকরা তাঁকে টানা পর্যবেক্ষণে রাখতে চান।
‘ভাগাড়’ সিরিজ়ের পর নতুন ছবির কাজের জন্য গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল ঐন্দ্রিলার। আনন্দবাজার অনলাইনকে এমনটাই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা। কিন্তু একটা ঝড় সব কিছুই যেন এলোমেলো করে দিল। আচমকা ব্রেন স্ট্রোক হয়ে গত চার দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অভিনেত্রী। তবে বয়স অল্প। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ৯৬ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঐন্দ্রিলার অবস্থা স্থিতিশীল। জ্বর নেই, রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাসও স্বাভাবিক। তবে ঘোরের মধ্যে রয়েছেন তিনি।
বুধবার জানা গিয়েছিল, অভিনেত্রীর শরীরের এক দিক পুরো অসাড়। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারছেন। তা ছাড়া শুধু চোখ নড়ছে। তবে তিন দিন কেটে যাওয়ার পর অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা খানিকটা হলেও স্বস্তির কথা বলছে।এর আগে দু’বার ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন ঐন্দ্রিলা। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে ছায়ার মতো রয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। গত দু’বার সব্যসাচীর সাহচর্যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থা থেকে ফিরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কাজও শুরু করেছিলেন। এ বারও ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকে সব্যসাচী রয়েছেন তাঁর পাশে। বস্তুত, মঙ্গলবার রাতে ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সব্যসাচীই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সব্যসাচী লেখেন, ‘‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।’’
সব্যসাচী আরও লিখেছেন, ‘‘জেনে রাখুন, মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে। সঙ্গে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল।’’ এই মুহূর্তে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার সম্পর্ক যেন সকলের কাছেই এক রূপকথা। গত দু’বারের মতো এ বারও যাতে লড়াই করেন সেই কামনাই করছেন তাঁর অনুরাগীরা। মতি নন্দীর ‘কোনি’ উপন্যাসের ক্ষিদ্দার মতো মতো অনেকেই হয়তো বলছেন, ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা, ফাইট।’