Ranojoy Bishnu

‘এত কাছ থেকে মৃত্যুকে কোনও দিন দেখিনি!’ কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রণজয়ের

গাইডের অনভিজ্ঞতায় ঘটে যেতে পারত মারাত্মক কোনও দুর্ঘটনা। রণজয় সহ পাঁচ জন কী ভাবে ফিরে এলেন শুটিংস্থলে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৪২
Tollywood actor Ranojoy Bishnu and his friends faced almost death experience while trekking in Kashmir

রণজয় বিষ্ণু। ছবি: সংগৃহীত।

প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন টলিপাড়ার অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। এই মুহূর্তে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হিন্দি সিরিয়াল ‘ঝনক’-এর শুটিংয়ে কাশ্মীরে রয়েছেন রণজয়। রণজয়ের ট্রেকিংয়ের শখ অনেকেরই জানা। শুটিংয়ের ফাঁকে পাঁচ জন মিলে তিন দিনের জন্য ট্রেক করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, সেই অভিজ্ঞতা আদপেও সুখকর হয়নি।

Advertisement

রণজয়রা ট্রেকিংয়ের জন্য বেছে নেন আরশান এবং ফাম্বার উপত্যকা। সেই মতো ৮ সেপ্টেম্বর ভোরে রওনা হন। প্রথম দিনে প্রায় ১২ কিলোমিটার ট্রেক করতে হয় তাঁদের। কাশ্মীর থেকে রণজয় ফোনে বলছিলেন, ‘‘প্রথম রাত্রে ক্যাম্পে বৃষ্টি। পাহাড়ে কাঠের বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলাম।’’ দ্বিতীয় দিন তাঁরা পৌঁছে যান আরশান এবং ফাম্বার উপত্যকায়। অভিনেতা জানালেন, এই অঞ্চলে সাধারণত খুব একটা ট্রেকিং হয় না। তাঁর কথায়, ‘‘পাহাড়ি উপত্যকার মাঝে নদী বয়ে চলেছে। সত্যি বলতে, নিজের চোখে না দেখলে সেই সৌন্দর্যকে ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন।’’

Tollywood actor Ranojoy Bishnu and his friends faced almost death experience while trekking in Kashmir

কাশ্মীরে রণজয় বিষ্ণু। ছবি: সংগৃহীত।

তৃতীয় দিন সকালে ঘটে বিপত্তি। স্থানীয় গাইডের নির্দেশ ছিল, দলকে ‘সিন্থন টপ’ পর্যন্ত ট্রেক করে পৌঁছতে হবে। তার পর সেখান থেকে নীচে নেমে গাড়ি নিয়ে হোটেলে ফেরা। রণজয় বললেন, ‘‘দুপুরে সেখানে পৌঁছে গাইড বললেন, আমাদের পাহা়ড়ের খাড়া ঢাল ট্রেক করে নামতে হবে!’’ গাইড যে অভিজ্ঞ নন, তত ক্ষণে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রণজয় বললেন, ‘‘আমরা তো অভিজ্ঞ পর্বতারোহী নই। কিন্তু আর কোনও রাস্তা ছিল না। গাইড আমাদের প্রায় কুড়ি তলা বাড়ির সমান পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচে নামতে বাধ্য করেন।’’

রণজয় জানালেন, গাইডের সঙ্গে তাঁদের একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি হয়। ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় শুটিং ইউনিটের সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেননি। উত্তেজিত রণজয় বললেন, ‘‘আমরা নামতে শুরু করলাম। দু’তিন বার পায়ের নীচ থেকে পাথর সরে গিয়েছে। এত কাছ থেকে মৃত্যকে দেখিনি কোনও দিন!’’ অভিনেতা জানালেন, মাঝে এক সময় মাথা ঘুরে সংজ্ঞা হারান তিনি। তবে সামলে নিয়েছিল সঙ্গে ঘোড়ার দায়িত্বে থাকে আরিফ নামের একটি ছেলে। রণজয়ের কথায়, ‘‘ও আমার কাছে ঈশ্বর। কারণ ও আমার জীবন বাঁচিয়েছে।’’

সকাল থেকে খাবার, জল কিছুই ছিল না দলের কাছে। রাতে গাড়িতে উঠে অবশেষে বিপদ থেকে বাঁচেন তাঁরা। রণজয় তাঁদের গাইডের বিষয়ে বললেন, ‘‘আসলে পারিশ্রমিকের লোভে তিনি চার দিনের ট্রেকিং শর্টকার্টে তিন দিনে সারতেই এটা করলেন। পর্যটকদের জীবন নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলার কোনও মানে নেই।’’ আবার শুটিংয়ে যোগ দিয়েছেন রণজয়। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ফেরার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।

আরও পড়ুন
Advertisement