জন ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণত তারকাদের জীবন ঘড়ির কাঁটা নিয়ন্ত্রিত। শুটিং থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত কাজ, সবই সময় ধরে করতে হয়। অভিনেতা জন ভট্টাচার্যের কাছেও নষ্ট করার মতো সময় নেই। কিন্তু শহরের যানজট সম্পর্কে তাঁর ধারণা রয়েছে। তাই কল টাইমে শুটিং ফ্লোরে পৌঁছতে নয়া উপায় বার করলেন অভিনেতা।
বুধবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন জন। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বিদ্যাসাগর সেতুর উপর তিনি বাইক চালাচ্ছেন। ভিডিয়োর সঙ্গে অভিনেতা লিখেছেন, ‘‘মনখারাপ হলে এই ভিডিয়োটা আপনাদের জন্য।’’ তা হলে কি কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়লেন অভিনেতা? জন জানালেন, বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরতি পথে ভিডিয়োটি তুলেছেন তিনি। জনের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে। সম্প্রতি, তিনি একটি মোটোরবাইকও কিনেছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতা বললেন, ‘‘শুটিংয়ে সময় মতো পৌঁছতেই বাইকটা কিনেছি। এত দিন গাড়ি নিয়েই সময়ে পৌঁছে যেতাম। কিন্তু বাইকে দেখছি আরও সময় বাঁচছে।’’ দশ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন জন। তাই সময়ের সঙ্গে পেশাদারি মনোভাবও আরও বেড়েছে। বলছিলেন, ‘‘শুটিং ছাড়াও জিম আছে। ব্যক্তিগত কাজ আছে। সময়ে সব শেষ করতে দেখছি বাইক অব্যর্থ কাজ দিচ্ছে।’’ একই সঙ্গে হেসে বললেন, ‘‘ইদানীং এত বেশি বাইক চালাচ্ছি, অনেকেই জানতে চাইছেন যে, আমি গাড়ি চালানো ছেড়ে দিয়েছি কি না।’’ বৃষ্টিতে বা সেজেগুজে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য গাড়িকেই এগিয়ে রাখছেন জন। তাঁর কথায়, ‘‘আসলে দু’ধরনের বাহন থাকলে সব থেকে বেশি সুবিধা।’’
অভিনেতাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা বড় সময় কাটে শুটিং ফ্লোরে। জন বললেন, ‘‘আসলে বাইক চালাতে গিয়ে দেখেছি অনেক বেশি মনঃসংযোগ করা যায়। সেটা পরোক্ষে আমাকে ভাল শট দিতে সাহায্য করে।’’ বাড়িতে বাবা-মা অবশ্য জনকে সাবধানে মোটরবাইক চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। অভিনেতাও জানালেন, যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনেই তিনি পথে নামেন। এই মুহূর্তে ‘আলোর ঠিকানা’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে ব্যস্ত জন। সম্প্রতি, এই ধারাবাহিক ৩০০ পর্ব সম্পূর্ণ করেছে। সেই উচ্ছ্বাসও ধরা পড়ল তাঁর কথায়। পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন কাজের কথাও চলছে। তবে তা নিয়ে এখনই কোনও রকম মন্তব্য করতে নারাজ অভিনেতা।