জিতু কমল। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে জিতু কমল এবং নবনীতা দাসের বিচ্ছেদ নিয়ে সরগরম টলিপাড়া। আচমকাই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। জানিয়ে দেন, এ বার থেকে তাঁরা আলাদা থাকবেন। তার পর থেকেই চারদিকে হইচই। সবাই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন জিতু এবং নবনীতার সঙ্গে। অভিনেত্রী কথা বললেও জিতু এ বিষয়ে কোনও কথাই বলেননি। তাঁর যা বক্তব্য সবটাই তিনি জানিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। রাতে একটি ছবি পোস্ট করেন নায়ক। শিব ঠাকুরের ছবি পোস্ট করে জিতু লেখেন, “সব কিছু ব্যক্তিগত রাখার চেষ্টা করুন। ঘুরতে গেলে কাউকে বলবেন না। সঙ্গী খুঁজে পেলে চুপ থাকুন। আনন্দে থাকলে মুখ বন্ধ রাখুন। কারণ ভাল জিনিস বেশি জানাজানি হলে নষ্ট হয়ে যায়।”
নবনীতার বিচ্ছেদ ঘোষণার পর কি এমনটাই অনুভব করলেন জিতু? এমন কিছুই মন্তব্য ভরে উঠেছে নায়কের সমাজমাধ্যমের পাতায়। যদিও নবনীতার এই বিচ্ছেদের ইঙ্গিতকে মান অভিমান তকমাই দিতে চেয়েছেন জিতু। তিনি লেখেন, “তোমায় শুরুতেও আগলেছি। আজও আগলাব। আগামীতেও তাই করব। বাচ্চা বউ।” অনেক দিন ধরেই তাঁরা যে আলাদা থাকছেন, এ কথা জানিয়েছেন নবনীতা।
২০১৯ সালের ৬ মে বিয়ে করেন তাঁরা। এ বছরের বিবাহবার্ষিকীটা তাঁরা কাটিয়েছেন লন্ডনে। তবে উদ্যাপনের কোনও ছবি পোস্ট করেননি। তখন থেকেই ঘনিষ্ঠমহলে তৈরি হয়েছিল নানা রকমের জল্পনা। তবে সবটাই তখন উড়িয়ে দিয়েছিলেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে নবনীতা বলেন, “আমি নিজেই বুঝতে পারছি না এই পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো উচিত। কিচ্ছু বুঝতে পারছি না! আসলে কতটা এই ব্যাপারে কথা বলা উচিত, সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা তিন মাস ধরেই আলাদা ছিলাম। এখন আমার পক্ষেও এটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মতের মিলও হচ্ছিল না অনেক বিষয়ে। জিতুর জীবনে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, বলতে পারব না। কিন্তু আমার হচ্ছিল। এই সিদ্ধান্তের আগেই আমার লন্ডন যাওয়া ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এটা যে হেতু আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, টিকিট বাতিল করলে যদি পরবর্তী কালে কোনও সমস্যা হয়, তাই আমরা আর এই ট্রিপটা বাতিল করিনি।”