জিতু-নবনীতা। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ে ভাঙছে অভিনেতা জিতু কমল এবং অভিনেত্রী নবনীতা দাসের। সম্পর্ক ভাঙার কথা ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন নবনীতা। তিন মাস ধরেই আলাদা থাকছিলেন। আইনি প্রক্রিয়াও এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। এখনও বিবাহবিচ্ছেদের শংসাপত্র আসেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে নবনীতা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “টেবিলে দুটো প্লেট একসঙ্গে থাকবে না। টাওয়েল, সানস্ক্রিনের ভাগাভাগি হবে না। জানি এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আমায় প্রস্তুত করে দিয়েছ তুমি। আমরা দুজন দুজনের সাথে ভাল নেই.....প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এই সব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায়ের ইতিটা নয় এই ভাবেই হোক। ভাল থেকো জিতু।” কিছু দিন আগেই লন্ডন থেকে ফিরেছেন জিতু এবং নবনীতা। এই কয়েক দিনের মধ্যে কী এমন ঘটল? তিন মাস ধরে যদি তাঁরা আলাদা থাকেন, তা হলে লন্ডনে নায়কের সঙ্গে কেন ঘুরতে গেলেন নবনীতা? উঠছে এমন অনেক প্রশ্নই।
দু’জনের আলাপ বহু দিনের। সিরিয়ালের সেটেই প্রেম। হঠাৎ সুখের সংসারে কী হল? জানতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় নবনীতার সঙ্গে। মন ভাল নেই, তা তাঁর গলায় স্পষ্ট। তিনি বললেন, “আমি নিজেই বুঝতে পারছি না এই পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো উচিত। কিচ্ছু বুঝতে পারছি না! আসলে কতটা এই ব্যাপারে কথা বলা উচিত, সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা তিন মাস ধরেই আলাদা ছিলাম। এখন আমার পক্ষেও এটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মতের মিলও হচ্ছিল না অনেক বিষয়ে। জিতুর জীবনে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, বলতে পারব না। কিন্তু আমার হচ্ছিল। এই সিদ্ধান্তের আগেই আমার লন্ডন যাওয়া ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এটা যে হেতু আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, টিকিট বাতিল করলে যদি পরবর্তী কালে কোনও সমস্যা হয়, তাই আমরা আর এই ট্রিপটা বাতিল করিনি।”
পাঁচ বছর আগে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলন জিতু এবং নবনীতা। তার পর ধীরে ধীরে নবনীতা কাজ করা কমিয়ে দেন। জিতু মন দেন বড় পর্দার কাজে। কিছু দিন আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেছিলেন, “কোনও কিছু আলোচনা করার জন্য আমি নিজেই জিতুর ডেট পাই না।” তাঁর এই মন্তব্য কি বিচ্ছেদেরই আভাস ছিল? আপাতত জিতু একের পর এক ছবিতে সই করে চলেছেন। আবারও লন্ডনে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবির শুটিং করতে যাওয়ার কথা নায়কের। অন্য দিকে, নবনীতাও শুরু করেছেন নতুন সিরিয়াল ‘বিয়ের ফুল’। ব্যক্তিগত জীবনের এই টানাপড়েন ভুলে এই মুহূর্তে কাজে মন দিতে চান অভিনেত্রী।