রাজন্যা হালদার। ফাইল ছবি।
আরজি কর-কাণ্ডের পটভূমিতে তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করে বিতর্কে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। ছবির প্রযোজনা করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী। এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ছবি তৈরির বিষয়টি মেনে নিল না তৃণমূল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, প্রান্তিক এবং রাজন্যাকে সংগঠনের পদ থেকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হল।
যদিও এই সিদ্ধান্তের পরেও নিজেদের ছবিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। জানান রাজন্যা। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, “আমরা জানি, কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এই ছবি তৈরি করেছি। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরে সকলেই বুঝতে পারবে এটা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে করা।”
তবে সাসপেনশন প্রসঙ্গে দলের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে মনে করছেন রাজন্যা। তিনি বলেন, “প্রবাদ রয়েছে, প্রচ্ছদ দেখে কখনও গোটা উপন্যাস কেমন, তা নির্ধারণ করা উচিত নয়। দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার আগেও আমি বলেছিলাম, দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমার মনে হয় আজও আমার আদর্শের জায়গা থেকে এটাই বলা উচিত— দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”
তবে পোস্টার যে হেতু মুক্তি পেয়ে গিয়েছে তাই ছবিতে কোনও বদল আনা হচ্ছে না। রাজন্যা বলেছেন, “আমরা ইতিহাস বইয়ের পাতায় পড়েছি পটভূমি বলতে সময়কালের কথা বলা হয়। ছবি তৈরি করে আমি যদি বলতে না পারি, কোন সময়কালের ঘটনা তুলে ধরছি, তা হলে তো কোনও প্রাসঙ্গিকতাই থাকবে না।”
ছবির প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী রাজন্যা বলেছিলেন, “একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে এক রাজন্যার জন্ম হয়েছে। কিন্তু, রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই রাজন্যার একটা শিল্পীসত্তা ছিল। একটা শৈল্পিক মনন ছিল। একই ভাবে প্রান্তিকেরও তা ছিল। সেই কারণেই এই ছবিটা করছি আমরা। রাজনীতি আমাদের পেশা। শিল্পসত্তার সঙ্গে এটার সম্পর্ক নেই।”