পরিচালক জানান, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ একটি লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, যা শৈল্পিক উদ্দেশ্যের ঊর্ধ্বে। —ফাইল চিত্র
বিতর্কের মাঝে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ৬ দিনে বক্স অফিসের সংগ্রহে ৮০ কোটি টাকা। এ বার বিদেশেও জয়ধ্বজা ওড়াল বাঙালি পরিচালকের ছবি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় দু’শোটিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই করমুক্ত ঘোষণা করেছে ছবিটিকে। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ু এবং বাংলায়। তামিলনাড়ুর প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সুদীপ্তর ছবি, আর বাংলায় একেবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখাই এর লক্ষ্য বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
৫ মে, পূর্বনির্ধারিত দিনেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। তিন মেয়ের গল্প। কেরল থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর যাদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। পরে তারা আইসিস-এ যোগ দেয়। পরিচালক জানান, ছবিটি একটি লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, যা শৈল্পিক উদ্দেশ্যের ঊর্ধ্বে। সাংবাদিক বৈঠকে সুদীপ্ত বলেন,“কেরল রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যমান সমস্যাটিকে দেশ অস্বীকার করছিল। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ হল এক মিশন, যা সিনেমার সৃজনশীল সীমানার বাইরে, একটি আন্দোলন, যা সারা বিশ্বের জনসাধারণের কাছে পৌঁছনো উচিত এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।”
প্রযোজক বিপুল শাহের দাবি, এই সত্য লুকিয়ে রাখা হয়েছিল দিনের পর দিন, কিন্তু প্রকাশ্যে আনা জরুরি ছিল, তাই এই ছবিটি হওয়ার প্রয়োজন ছিল।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিতে শালিনী উন্নিকৃষ্ণনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অদা শর্মা। বিতর্কিত এক ছবিতে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দিন যখন আমি ছবির চিত্রনাট্য শুনেছি, আমি বুঝতে পেরেছি, এটা এক নিরীহ মেয়ের গল্প। যে আইএসিস-এর মতো একটা দলের প্যাঁচে পড়ে গিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদের এই গল্প ভয়ঙ্কর, তবে কাউকে না কাউকে তো এই গল্পটা বলতেই হত।’’ এর আগেও ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা এখনও মনে করছেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ একটা প্ররোচনামূলক ছবি, তাঁরা গুগলে একটু খুঁজে দেখুন। সত্যিটা জানতে পারবেন।’’
একটি টুইট করে অদা লেখেন, ‘‘আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ, যাঁরা এই ছবি দেখছেন, যাঁরা এই ছবি নিয়ে কথা বলছেন, যাঁরা এটাকে ট্রেন্ডিং করেছেন এবং যাঁরা আমার কাজের প্রশংসা করেছেন।