বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
বছর দুয়েক আগে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির সাফল্যের পরেই ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’ ছবিটির ঘোষণা করেছিলেন পরিচালত বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী। এ বার এই ছবি নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করলেন পরিচালক। প্রসঙ্গক্রমে পশ্চিমবঙ্গ নিয়েও মন্তব্য করলেন তিনি।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘরছাড়ার কাহিনি নিয়ে নির্মিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ তৈরি করেন বিবেক। সূত্রের দাবি ছিল, ১৯৮৪ সালে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনাই ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’ ছবির মূল উপজীব্য। তবে, অন্য একটি সূত্রের দাবি, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে ঘটা সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়ে ছবিটি তৈরি করছেন পরিচালক।
সোমবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন বিবেক। সেখানে এই ছবি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বাংলার ইতিহাস সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পেরেছেন বলে তিনি জানান। বিশেষ করে ওই পোস্টে তিনি বাংলার হিংসার ইতিহাস প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। বিবেক লেখেন, ‘‘এই ছবিতে বাংলার হিংসার ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বিগত ছ’মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি।’’ পরিচালক আরও লিখেছেন, ‘‘বাংলা হল এমন একটা রাজ্য, যা দু’বার বিভক্ত হয়েছে। যেখানে স্বাধীনতা-পূর্ব এবং স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে একাধিক গণহত্যা হয়েছে।’’
বিবেকের মতে, স্বাধীনতার পর দেশে মূলত দ্বিজাতিতত্ত্ব নিয়ে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু, বাংলায় বিরোধের কেন্দ্রে এরই পাশাপাশি কমিউনিজ়ম এবং নকশাল আদর্শও দেখা দেয়। বিবেকের কথায়, ‘‘ফলাফল হিসেবে পড়ে ছিল শুধুই বামপন্থা। বাংলার মতো এতখানি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় হিংসার সাক্ষী অন্য কোনও রাজ্যকে হতে হয়নি। এখনও বাংলায় বিভাজন অব্যাহত।’’
পোস্টের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন বিবেক। জানিয়েছেন, ছবিটি দিল্লির জাতীয় জাদুঘরে তোলা। বিবেক লেখেন, ‘‘বাংলার প্রয়োজন সহমর্মী এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এক জন সঠিক নেতার, যিনি বাংলাকে নবজাগরণের নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।’’ এরই সঙ্গে দর্শকের উদ্দেশে বিবেক ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘বাংলার আসল গল্প বাঙালিরই মুখ থেকে।’’
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটির পর বিবেককে অনেকেই ‘প্রোপাগান্ডা ছবির পরিচালক’ আখ্যা দিয়েছিলেন। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল বিবেক পরিচালিত ‘দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার’। ছবিটি বক্স অফিসে সফল হয়নি। ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’-এর গবেষণায় কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছেন না পরিচালক।