দীপিকা কক্কর ইব্রাহিম। ছবি: সংগৃহীত।
অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর ইব্রাহিম। জিনিস না কিনেও দাম দিতে হয় ‘সসুরাল সিমর কা’ খ্যাত অভিনেত্রীকে। সেখানেই শেষ নয়, বাড়িতে জিনিসপত্র দিতে এসে ওটিপির জন্য বার বার জোরাজুরিও নাকি করছিলেন ওই ব্যক্তি। দীপিকা জানিয়েছেন, নগদ টাকার দাম মেটানোর পরেও নাকি বার বার ওটিপি চাইছিলেন ওই ব্যক্তি। তার পর?
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভ্লগের মাধ্যমে নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে দীপিকা জানান, দিন কয়েক আগেই নাকি তাঁর বাড়িতে একাধিক জিনিসপত্র এসেছিল, যা নাকি তিনি কেনেননি। তিনি জানান, জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে ব্যক্তি এসেছিলেন, তিনি দাবি করেন অভিনেত্রী নাকি অনলাইনে এমন বেশ কিছু জিনিস অর্ডার করেছেন, যার জন্য তাঁকে নগদে দাম দিতে হবে। সাধারণত ছেলে রুহান ও নিজের জন্য অনলাইনে জিনিসপত্র কেনেন দীপিকা। তাই বেশি না ভেবে নগদ টাকায় দাম মিটিয়ে দেন অভিনেত্রী। তার পরেই শুরু হয় গন্ডগোল। ওই ঘটনার দিন কয়েক পরেই ফের জিনিসপত্র নিয়ে আসেন আর এক ব্যক্তি। দীপিকা জানান, ওই বাক্সেও তাঁর নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লেখা ছিল। যা দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। অথচ তাঁর ঠিক মনে আছে, তিনি সম্প্রতি অনলাইনে কোনও জিনিস কেনেননি। দীপিকা জিনিসপত্রের বাক্স নিতে অস্বীকার করলে ওই ব্যক্তি অভিনেত্রীর ফোনে পাঠানো ওটিপি নম্বর তাঁকে দিতে বলেন। ওটিপি নিয়ে জোরাজুরি শুরু করলে সন্দেহ হয় দীপিকার। সেই সন্দেহ থেকেই শেষ পর্যন্ত ওটিপি দেননি তিনি। ফলে বিপুল অঙ্কের টাকা খোয়াতে হয়নি অভিনেত্রীকে।
এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে নিজের ভ্লগে দীপিকা পরামর্শ দেন, নিজে অনলাইনে কোনও জিনিস অর্ডার না করে থাকলে কেউ যেন বোকামি করে ওটিপি না দিয়ে দেন। ওটিপি পেয়ে গেলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা সরিয়ে নিতে পারবেন প্রতারকেরা।