‘নিখোঁজ’ ছবিতে সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের লুক। ছবি: সংগৃহীত।
নিজেকে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি আর্টিস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করতে পছন্দ করেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় বিচরণ তাঁর। তবে অভিনয়ের ক্ষেত্রেও তাঁর স্বকীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করেন সুজয়প্রসাদ। শুক্রবার ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে আরণ্যক চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘নিখোঁজ’। ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজয়প্রসাদ।
আদিত্য দীর্ঘ দিন লন্ডনে কর্মরত। কিন্তু হঠাৎই এক দিন সে নিখোঁজ হয়। আদিত্যর সন্ধানে লন্ডনে হাজির হয় তার স্ত্রী তনয়া। সেখানে গিয়ে এক নতুন সত্য তার সামনে উন্মোচিত হয়। এ রকমই প্রেক্ষাপটে পরিচালক এই থ্রিলারের গল্প বুনেছেন। এই ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজয়প্রসাদ। চরিত্র প্রসঙ্গে খুব বেশি খোলসা না করেই তিনি বললেন, ‘‘লন্ডন নিবাসী এক জন গ্যাংস্টারের চরিত্র। নাম হাবিব। তনয়াকে খুঁজে বেরাচ্ছে সে। কিন্তু এই চরিত্রকে আমি পুরোপুরি খলনায়ক বলতে চাই না। বাকিটা ছবি দেখলে দর্শক বুঝতে পারবেন।’’
গত বছর লন্ডনে ছবির শুটিং সেরেছিলেন সুজয়প্রসাদ। তবে খল চরিত্রে এর আগেও তিনি অভিনয় করেছেন। দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘বিদায় ব্যোমকেশ’ ছবিতেও তাঁকে খল চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। কিন্তু সুয়জপ্রসাদ বললেন, ‘‘এই চরিত্রটা একদমই আলাদা। কারণ আমি এর আগে কখনও গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করিনি। বাংলা ছবিতে পরিচালক আমাকে এ রকম একটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছেন বলে ভাল লেগেছে।’’ ‘ত্রিনয়নী’ সিরিয়ালেও সুজয়প্রসাদ খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বার বার খল চরিত্র কেন? সুজয়প্রসাদ বললেন, ‘‘আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, অভিনয় করেছি। সেখানে আমার কোনও উপায় নেই। আমি জানি, খল চরিত্রে অভিনয় করা কঠিন। হয়তো অভিনয় ভাল করি, তাই নির্মাতারা বার বার আমাকে বেছে নেন।’’ একই সঙ্গে এর আগে তাঁর অভিনীত প্রতিটি খল চরিত্র পরস্পরের থেকে আলাদা বলেও জানালেন সুজয়প্রসাদ। এই ছবির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন সোমরাজ মাইতি, ঋদ্ধিমা ঘোষ, সোহম চক্রবর্তী প্রমুখ।
সুজয় অভিনীত শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’। শিল্পী জানালেন, একাধিক নতুন কাজ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তবে খুব শীঘ্র সোহাগ সেনের নির্দেশনায় একটি নাটকে অভিনয় করবেন তিনি।