বড়দিনে কেক না গুড়, কোনটা পছন্দ সুদীপ্তার?
আমার কাছে বড়দিন কেক, পেস্ট্রির। নলেন গুড়েরও। আমার কপালে এ বছর যদিও কেক খাওয়া নেই। কড়া ডায়েটে আছি। কিন্তু চোখের দেখা দেখতেই তো পারি! সেটাই হল। এ বছর মেয়ের বন্ধুদের নিয়ে, তাদের মা-বাবারা মিলে আমাদের এক বান্ধবীর বাগানবাড়ি বাকরাহাটে এসেছি। সেখানেই বড়দিনের কেক কেটেছে ছেলেপুলেরা। আমি দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখেছি কেবল।
বদলে এ বছর আমার জন্যে সান্তাক্লজের উপহার নলেন গুড়। খেতে পারব না। তবে বাড়ির জন্য নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। অনেক দিন পরে এ ভাবে সবাই মিলে ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়ে আমি তরতাজা।
আমার মেয়ে কিন্তু আমার মতো এত সহজ নয়। গত এক সপ্তাহ ধরে বিরাট তালিকা তৈরি করেছে। দিন কেটেছে। আবদারের বহর বেড়েছে। আর সেই সব বায়না শুনে আমার পিলে চমকে গিয়েছে। কী কী আবদার তার? দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাওয়া শাহিদার চাই একটা গোটা ইউনিকর্ন! শুনেই বললাম, ‘‘কোথায় পুষবি?’’ নিমেষে তার সহজ সমাধান, ‘‘কেন! ছাদে। খড়-বিচালি বিছিয়ে দেব। ওখানেই শোবে। থাকবে, খাবেও।’’ পরের দিনেই তালিকায় জুড়ল ডোরেমনের পকেট। ছোট পর্দায় সারাক্ষণ দেখছে, নবিতা তার বন্ধু ডোরেমোনের কাছে একটা করে বায়না করছে। আর ডোরেমন তার পকেট থেকে নানা ধরনের গ্যাজেট বের করে দিচ্ছে।
এ বছর মা-রূপী সান্তার কাছে শাহিদারও তেমনই একটা পকেট চাই। তা হলে আর কারওর কাছে কিছু চাইতে হবে না তাকে!