সৃজিত-রুদ্রনীল
‘ঘোষ ব্রাদার্স’কে ‘রগড়াতে’ বাকি ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। নিজের সামাজিক পাতায় ‘ভিঞ্চিদা’কে অনুঘটক বানিয়ে সেই কাজটিও তিনি সারলেন শৈল্পিক ভাবেই। তাঁর পোস্টে বিধ্বস্ত রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে যেন আপ্রাণ বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তিনি যা করেছেন ঠিক করেননি! কিছুক্ষণ আগে শেয়ার হওয়া পোস্টটি মনে ধরেছে ৩ হাজার নেটাগরিকের। সেখানেও মন্তব্য বিভাগে জ্বলজ্বল করছেন অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, ‘দু’জনে দু’জনকে রগড়ে দিল’?
কী ভাবে ব্যঙ্গের শরিক সৃজিত? রুদ্রনীল অভিনীত ‘ভিঞ্চিদা’র পরিচালক তিনি স্বয়ং। সেই ছবির একটি দৃশ্য তুলে ধরেছেন তাঁর পাতায়। এই দৃশ্যে রুদ্রনীলের সংলাপ, ‘অন্যকে রগড়াতে গিয়ে নিজেই কখন রগড়ে যাবেন! আপনি ধরতে পারবেন না’। পাশে কান্নার ইমোজি। পরাজিত প্রার্থীর এই ভাষণে চটে লাল দিলীপ ঘোষ। তেমনই মুখের ছবি রয়েছে ইনসেটে। সঙ্গে জুতসই মন্তব্য খোদ পরিচালকের, ‘জানি, চারিদিকে মহামারির জন্য কঠিন সময় চলছে। কিন্তু এক জন সাধারণ শিল্পী হিসেবে এটা শেয়ার না করে পারলাম না’। শাসকদলের পাশাপাশি এ ভাবেই যেন জয় উদযাপন করছেন টলিউডের গোটা শিল্পী সমাজ।
শাসকদল জিতছে। রবিবার এই খবর সামনে আসতেই অতিমারির ভয়ও সাময়িক ঢেকে গিয়েছে জয়ের আনন্দে। এই জয় শুধুই শাসকদলের নয়। এই জয় বাংলার, বাঙালির। পাশাপাশি ‘রগড়ানি’র হুমকি শোনা শিল্পী মহলেরও। তারই রেশ দেখা গিয়েছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক অভিনেতার পোস্টে। বাবা দেবাশিস কুমারের জিতে ফেরতেই দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ দেবলীনার, ‘বাঙালিদের রগড়ানো এত সহজ নয়’। যে গান থেকে ‘শিল্পীদের রগড়ানো’ বিতর্কের সূত্রপাত সেই ‘নিজের মতে নিজের গান’-এর কয়েকটি পংক্তি তুলে দিয়ে শিল্পীদের জিতে যাওয়ার আনন্দ নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন পরমব্রত। একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘আজ বিশ্ব রগড়ানি দিবস ঘোষিত হোক’। পরমব্রতের এই আর্জি সঙ্গে সঙ্গে মঞ্জুর করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। পাল্টা টুইটে তাঁর সমর্থন, ‘হোক হোক’!
শিল্পীদের এই প্রতিবাদে যেন সিলমোহর সৃজিতের ট্রোল। একে ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’ ছাড়া আর কী বলা যায়?