মেয়ে ঐশীকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলেখা। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার আইএসসি (দ্বাদশ)পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হল। এ বছর টলিপাড়ার এক তারকা-কন্যা পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি ঐশী মিত্র। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের কন্যা। জেন জি হয়েও ফেসবুকে প্রোফাইল নেই। ইনস্টাগ্রাম রিলে বিশেষ রুচি নেই তাঁর। বরং কাফকা, মুরাকমির লেখায় আগ্রহ। মেয়ে বড্ড প্রচারবিমুখ। তাই কত শতাংশ নম্বর পেয়েছেন মেয়ে, তা নিয়ে খানিক আমতা-আমতা করলেন শ্রীলেখা। তবে সদা স্পষ্টবাদী, ভণিতা যে পারেন না, নিজেই স্বীকার করেন সে কথা। তাই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়ে দিলেন মেয়ের প্রাপ্ত নম্বর। জানালেন ঐশীর পরবর্তী পরিকল্পনা।
মডার্ন হাই স্কুলের ছাত্রী ঐশী। আগেভাগেই মাকে সতর্ক করে দিয়েছেন, যাতে কাউকে কিছু না জানান। তবে মেয়ের প্রাপ্ত নম্বরে ভীষণ খুশি ও গর্বিত শ্রীলেখা। তিনটি বিষয়ে ৯৮-এর উপর নম্বর। বাংলাতেও ৯৮। শতাংশের হিসাবেও তাই-ই। শ্রীলেখার কথায়, ‘‘আমি ভীষণ খুশি যে, ও একজন সচেতন মানুষ হতে পেরেছে। ও আসলে এখনকার ছেলেমেয়েদের মতো রিল বানায় না। সমাজমাধ্যমেও নেই। বরং বই, থিয়েটার নিয়েই থাকে। বেয়াদপ নয়, মুখে মুখে তর্ক করে না। আমার ট্যাব চাই, নোটপ্যাড চাই, অমুক তমুক.... বলতেই শুনলাম না! বরং বই দিলে খুশি হয়। ওর জাগতিক বিষয়ে তেমন আগ্রহ নেই। জীবনে কারও কাছ থেকে উপহার চায়নি। আসলে আমরা লোভী নই, যেটুকু আছে সেটা সম্বল করেই বাঁচতে ভালবাসি।’’ স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে এ বার উচ্চশিক্ষার পালা। তবে সেটা কলকাতায় করবেন না। বরং শহর ছেড়ে বেঙ্গালুরু যাওয়ার ইচ্ছে। সেখানে মনোবিজ্ঞান কিংবা থিয়েটার নিয়ে পড়বেন।
মেয়ে যতই বারণ করুন না কেন, আজকের দিনটি বাড়িতেই ছোট করে উদ্যাপন করবেন অভিনেত্রী। মা-বাবা ও মেয়ে তিন জনে মিলে বিশেষ এই মুহূর্তটা উদ্যাপন করবেন তাঁরা। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেলও বন্ধুত্বটা রয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর। তাই বিশেষ দিনগুলি তিন জনে একসঙ্গেই কাটান তাঁরা।