শ্রীলেখা মিত্র।
শ্রীলেখা মিত্রের সাজ শেষ। শাড়ির সঙ্গে মানানসই ব্লাউজ, রূপসজ্জা। কেবল অজান্তে ব্রেসিয়ারের স্ট্র্যাপ বেরিয়ে গিয়েছে। সেটে যাওয়ার আগে সাজ ঠিক আছে কিনা জানতে সহযোগীর কাছে প্রশ্নও করেছেন তিনি, ‘সব ঠিক আছে তো?' তখনই এক পুরুষ কণ্ঠ বলেছে, 'সব ঠিক আছে। কিন্তু অন্তর্বাসের স্ট্র্যাপ বেরিয়ে গিয়েছে।' শোনার সঙ্গে সঙ্গে জিভ কেটে শ্রীলেখা ব্লাউজ টেনে স্ট্র্যাপ ঢাকতে গিয়েও হাত সরিয়ে নিয়েছেন। তাঁর শরীরী ভাষা বুঝিয়ে দিয়েছে, যেমন ছিলেন তেমনই থাকবেন। ব্রেসিয়ারের স্ট্র্যাপ লুকোনোর কী আছে?
আনন্দবাজার অনলাইনকে সাফ জবাব অভিনেত্রীর, ‘‘আমি এখন ‘রণং দেহি’ মূর্তিতে। সমাজের জঞ্জাল সরাতে কোমর বেঁধে নেমেছি। একুশ শতকেও যদি এত কিছু ট্যাবু নিয়ে চলতে হয়, এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই।’’ সেই জায়গা থেকেই তিনি অন্তর্বাস আড়াল করতে গিয়েও করেননি, দাবি শ্রীলেখার।
অভিনেত্রীর পাল্টা যুক্তি, মেয়েদের স্তন আছে। তাঁরা ব্রেসিয়ার বা অন্তর্বাস পরেন। সবাই জানেন। এখন অনলাইনে খোলাখুলি সেগুলি বিক্রি হয়। কত রকমারি স্ট্র্যাপ এবং ডিজাইনের অন্তর্বাসও বেরিয়েছে। পাতলা পোশাকের নীচে রঙিন অন্তর্বাস পরে ছবি দেওয়া বলিউডের নায়িকাদের হাল-ফ্যাশন। সেখানে ব্রা-এর স্ট্র্যাপ বেরোলেই নীতিপুলিশি! তিনি আর এ সবকে পাত্তা দেন না।
শ্রীলেখা পাত্তা না দিলেও একাধিক নেটাগরিক যথারীতি কটূক্তি করেছেন তাঁর রিল ভিডিয়ো দেখে। কেউ তাঁর স্তনের মাপ জানতে চেয়েছেন। কারওর কটাক্ষ, ‘শুধু ব্রা কেন! সব দেখাতে পারে।' কেউ স্তন্যপানেরও কুৎসিত ইঙ্গিত দিয়েছেন। শ্রীলেখার মতে, সুন্দর নিতম্ব, সুন্দর বক্ষ যুগল-- এই মন্তব্য প্রশংসাসূচক। এখানে কোনও অসভ্যতা বা পাপ নেই। সংস্কৃত মন্ত্রে দেবীদের বর্ণনাতেও এই ধরনের কথা জায়গা করে নিয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, দেবী সরস্বতীর মন্ত্রে উল্লিখিত ‘কুচযুগ শোভিত মুক্তা হারে’-র কথা। অভিনেত্রীর ব্যঙ্গ, তখন কিন্তু কেউ দেবীর স্তনের মাপ জানতে চায়নি। তাঁর আরও দাবি, যাঁরা মাতৃস্তন্য পান করে বড় হননি তাঁরাই স্তন নিয়ে এই ধরনের কুৎসিত মন্তব্য করতে পারেন।