বিজয় দেবেরাকোন্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
রণবীর কপূরের পরে এ বার বিজয় দেবেরাকোন্ডা। উগ্র পৌরুষ প্রদর্শন নিয়ে কটাক্ষ দক্ষিণী তারকাকে। বিজয় অভিনীত ‘দ্য ফ্যামিলি স্টার’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। বিজয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ম্রুণাল ঠাকুর। পরিচালক পরশুরাম। মুক্তির কয়েক সপ্তাহ পরেই ওটিটিতে দেওয়া হলেও আশানুরূপ ফল পায়নি ছবিটি। বক্স অফিসেও তার প্রতিফলন স্পষ্ট।
এর আগে রণবীর কপূর অভিনীত ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিটিকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। রক্তপাত, হিংসা, উগ্র পৌরুষ প্রদর্শনের কারণে সমাজের একটা বড় অংশের কাছে নেতিবাচক তকমা পায় ছবিটি। ‘দ্য ফ্যামিলি স্টার’ ছবিতে বিজয় দেবেরাকোন্ডার একটি সংলাপ নিয়ে তুলোধনা করা হচ্ছে অভিনেতাকে। একটি দৃশ্যে খলনায়ককে, গোবর্ধনের (বিজয় অভিনীত চরিত্র) বাড়ি গিয়ে তার আত্মীয়াকে অশালীন প্রস্তাব দিতে দেখা গিয়েছে। নির্যাতনের হুমকিও দেওয়া হয়। বিজয় অভিনীত চরিত্রটি সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে। মহিলাদের অসম্মান করার অপরাধে খলনায়কদের মারধরও করে সে। এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু পর ক্ষণেই খলনায়কের পরিবারের মহিলাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বসে বিজয়ের চরিত্রটি। আর তাতেই মেজাজ বিগড়ে গেল অনুরাগীদের।
কেউ বলছেন, বিজয় যে ধরনের চিত্রনাট্য বাছাই করছেন, তা রীতিমতো শোচনীয়। কারও মতে, বিজয়ের আর ছবি করা উচিত নয়। একের পর এক কড়া মন্তব্য ছুড়ে দেওয়া হল অভিনেতার উদ্দেশ্যে। এর আগে সন্দিপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত ‘অর্জুন রেড্ডি’ ছবিতে বিজয়ের সংলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনুরাগীরা। ঘটনাচক্রে ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিটিও পরিচালনা করেছেন বঙ্গা। জনৈক অনুরাগীর মতে, ছবিতে বিজয় দেবেরাকোন্ডার উপস্থিতি মানেই উগ্র পৌরুষ আর নারীবিদ্বেষের প্রদর্শন থাকবেই। অন্য এক দর্শকের কথায়, ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিজয় কলঙ্ক। তেলুগু দর্শকদের একাংশের মতে, ছবিতে খলনায়ক আর নায়কের মানসিকতায় কোনও ফারাক রইল না। তেলুগু ছবিতে এই ধরনের বিষয় তাঁরা মেনে নেবেন না।