Sooraj Pancholi

জুতো ছুঁয়ে সিদ্ধিদাতাকে স্পর্শ! সিদ্ধিবিনায়কে প্রবেশ করতেই সূরজের দিকে ধেয়ে এল কটাক্ষ

জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় দশ বছর পর নির্দোষ প্রমাণিত অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি। সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পৌঁছতেই কটাক্ষের মুখে সূরজ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৩২
Picture Of Jiya khan and sooraj pancholi

জিয়া খান মামলায় রেহাই পেতেই মন্দিরে ছুটে যেতেই ফের কটাক্ষের মুখে সূরজ। ছবি: সংগৃহীত।

বিগত ১০ বছর ধরে আদালত চত্বরে আনাগোনা অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলির। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে জিয়া খান মামলায় শুক্রবার তাঁকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি। মামলা থেকে স্বস্তি মিলতেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে ছোটেন আদিত্য পাঞ্চোলির পুত্র। শুধু তাই নয় আলোকচিত্রীদের মিষ্টিমুখ করাতেও দেখা যায় সূরজকে। হাসিমুখেই মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন অভিনেতা। কিন্তু মন্দির থেকে বেরনোর সময় সূরজের কাণ্ড দেখে ধেয়ে এল কটাক্ষ।

Advertisement

পরনে সাদা জ্যাকেট, কালো টিশার্ট ও জিন্‌সের প্যান্ট। এ ভাবেই মন্দিরের অন্দরে প্রবেশ করেন অভিনেতা। বেরিয়ে আসার সময় অভিনেতার হাতে ছিল গণেশের ছবি, কাঁধে উত্তরীয়। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তবে নেটাগরিকদের নজর কেড়েছে অন্য একটি বিষয়। মন্দিরে প্রবেশের সময় সূরজকে তাঁর জুতো খুলে রেখে দেওয়ার কথা বলা হয়, অভিনেতা জুতো নিজের হাতে তুলে নেন এবং যথাস্থানে রাখেন। কিন্তু হাত না ধুয়েই তিনি আবার গণেশের ছবিটি ধরেন। ব্যস তাতেই আপত্তি জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। কেউ লিখেছেন, ‘‘যে হাতে জুতো ধরলেন সেই হাতেই ঈশ্বরের ছবি ধরেছেন!’’ কেউ লিখেছেন, ‘‘আপনি হিন্দু ধর্মের অপমান করেছেন।’’ আবার কারও মতে, জুতো ছেড়ে হাত ধুয়ে নিলেই তো আর কোনও সমস্যা ছিল না।

জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বেকসুর প্রমাণিত হওয়ার পর সূরজ বলেন, “দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক দশটি বছর আমি কাটিয়েছি। আমার সঙ্গে রাত জেগেছে আমার পরিবার। কিন্তু আজ আমি জিতেছি। শুধু তা-ই নয়, আত্মমর্যাদা এবং সম্মান ফিরে পেয়েছি। অনেক সাহস প্রয়োজন ছিল এই মুখটা নিয়ে আবার বিশ্বের সামনে দাঁড়ানোর। সেটা আমি পেরেছি।” এরই পাশাপাশি কাতর আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমায় কেউ এই দশটা বছর ফিরিয়ে দিতে পারবেন? তবে এক দিকে স্বস্তি যে আমার পরিবার রক্ষা পেয়েছে। শান্তির চেয়ে বড় আর কিছুই হতে পারে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement