মঙ্গলসূত্র পরাতেই চোখে জল শোভিতার। ছবি: সংগৃহীত।
সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ধেয়ে এসেছিল একের পর এক কটাক্ষ। বাক্যবাণে বিদ্ধ হলেও চুপ থেকেছিলেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধুলিপালা। অবশেষে সেই প্রেম পরিণতি পেল বুধবার রাতে। ঘনিষ্ঠ পরিজনদের মাঝে হায়দরাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিয়োয় চার হাত এক করলেন নাগা ও শোভিতা।
পরনে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি। গা ভরা সাবেক ভারী সোনার গয়না। মঙ্গলসূত্র পরানোর সময়ে শোভিতার সাজ ছিল এমনই। নাগার পরনে সাদা ও লাল রঙের মিশেলে পাঞ্জাবি-উত্তরীয়। প্রিয়জন বেষ্টিত হয়ে বসেছিলেন শোভিতা। নাগা এসে নববধূর গলায় পরিয়ে দিলেন মঙ্গলসূত্র। পরিণতি পেল তাঁদের প্রেম। পরিজনদের সমবেত কলরবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন শোভিতা। অশ্রুবিহ্বল শোভিতা হাসলেন নাগার দিকে তাকিয়ে। বহু বাধা পেরিয়ে এসে একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করলেন যেন তাঁরা। এমনই একটি ভিডিয়ো এই মুহূর্তে নেটপাড়ায় ভাইরাল। এমন আবেগি মুহূর্তে হইহই করে ওঠেন বিয়ের আসরের অতিথিরা। কেউ কেউ আনন্দে ‘সিটি’ দিয়ে ওঠেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান।
বিয়ের মূল অনুষ্ঠানের জন্য শোভিতা বেছে নিয়েছিলেন সোনার সুতোয় বোনা কাঞ্জিভরম শাড়ি। প্রথম থেকেই শোনা গিয়েছিল, সাবেক ও ঐতিহ্যবাহী সাজে ধরা দেবেন শোভিতা। বিয়ের ছবি প্রথম প্রকাশ করেন নাগা চৈতন্যের বাবা নাগার্জুন। সঙ্গে লেখেন, “শোভিতা আর নাগার জীবনে এক সুন্দর অধ্যায়ের সূচনা হতে দেখে আমার মন ভরে গিয়েছে। আমার প্রিয় চে-কে শুভেচ্ছা জানাই, আর প্রিয় শোভিতাকে আমাদের পরিবারে স্বাগত— তোমরা ইতিমধ্যেই আমাদের জীবন খুশিতে ভরে দিয়েছ।”
এর পর নাগা-শোভিতা যাবেন কোনও মন্দিরে, আশীর্বাদ নিতে। আক্কিনেনি পরিবারের এই নিয়ম।