প্রতীক্ষার প্রহর শেষ, চার হাত এক হল সিড-কিয়ারার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
প্রেম যে করতেন তা-ও কখনও প্রকাশ্যে আনেননি। বিয়েটাও করে ফেললেন প্রায় চুপিচুপি। সকলের নজর এখন সিদ্ধার্থ মলহোত্র আর কিয়ারা আডবাণীর বিয়েতে। কখন আসবে প্রথম ছবি? কী রঙের পোশাক পরেছেন তাঁরা? কোন থিম? জয়সলমেরের সূর্যগড় প্রাসাদে এখন ঠিক কী হচ্ছে— এমন হাজারটি প্রশ্ন ভিড় করেছে অনুরাগীদের মনে। সকলে উদ্গ্রীব, এ দিকে প্রতীক্ষার প্রহর শেষ আর হয় না।
বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। সে রাত ব্যাচেলর পার্টি করতেই কেটে গিয়েছে বর-কনের। অতিথিরাও একের পর এক অনুষ্ঠানে মজে। তাই বাইরে থেকে কাকপক্ষীও টের পেল না, যে বিয়েটা এক দিন পিছিয়ে গেল।
অবশেষে বিয়ে হল ৭ ফেব্রুয়ারি। রাজস্থানের কাঠফাটা রোদ। রাস্তা জুড়ে বিলাসবহুল গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। অতিথিদের জন্য এলাহি ব্যবস্থার আঁচ যখন বাইরে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে, ছবি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করল একে একে। বর যে ঘোড়ায় চেপে কনের মুখ দেখবেন সেই সাদা ঘোড়াও টগবগিয়ে ঢুকে গেল সূর্যগড় প্রাসাদের মধ্যে। তৈরি ছিল বরযাত্রী, ব্যান্ড পার্টিও। তার পর দুপুরবেলা সাত পাকে ঘুরলেন সিড-কিয়ারা। রাজকীয় বেশ, যাতে রুপোলি আভা। কড়া নিরাপত্তা পেরিয়ে তাঁদের বিয়ের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে।
পঞ্জাবি ঐতিহ্য মেনেই বিয়ের আয়োজন। একেবারে ব্যক্তিগত পরিসরে অনুষ্ঠান হলেও জাঁকজমকের ঘটা যে কম নয়, বোঝা গেল পরে। আমন্ত্রিতের তালিকায় মাত্র ১০০-১২৫ জনের নাম। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন পরিচালক কর্ণ জোহর, পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্র। ‘কবীর সিংহ’-এ কিয়ারার সহ-অভিনেতা শাহিদ কপূরও সস্ত্রীক উপস্থিত রয়েছেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।
বিয়েতে নিমন্ত্রিতদের জন্য সূর্যগড় প্রাসাদে ব্যবস্থা করা হয়েছে ৮০টি বিলাসবহুল ঘরের। সঙ্গে অতিথিদের যাতায়াতের জন্য থাকছে ৭০টি বিলাসবহুল গাড়িও। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে মার্সেডিজ়, জ্যাগুয়ার, বিএমডব্লিউয়ের মতো নামী-দামি গাড়ি। জোধপুর বিমানবন্দর থেকে অতিথিদের বিয়ের ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব সময় মজুত থাকবে এই গাড়িগুলি। যাতে অতিথি আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি না হয়, রয়েছে তার সব বিলাসব্যবস্থাই।