মেয়ে পলককে কী বললেন শ্বেতা?
মেয়েকে বিয়ে করতে বলেন না। নিজে স্বপ্ন নিয়ে দু’বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। দু’বারই ব্যর্থ দাম্পত্য জীবন। এ দিকে কেরিয়ারের গ্রাফ উঠতেই থাকে। শেষ পর্যন্ত হতাশায় ডুবতে না চেয়ে সাংসারিক জীবনে ইস্তফা দিয়েছেন শ্বেতা তিওয়ারি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চার শেষ নেই। যদিও অভিনেত্রী এখন দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে আনন্দেই দিন কাটাচ্ছেন।
টেলিভিশনে জনপ্রিয় মুখ। ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’-তে 'প্রেরণা' চরিত্রে তাঁর অভিনয় এখনও মনে রেখেছেন দর্শকরা। শেষ বার বরুণ বাদোলার বিপরীতে ‘মেরে বাবা কি দুলহান’-এ দেখা গিয়েছিল শ্বেতাকে। তার দু’বছর ব্যবধানে আবারও ধারাবাহিকে ফিরছেন নায়িকা।
মানব গোহিলের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাবে ‘ম্যায় হুঁ অপরাজিতা’-তে। এই ধারাবাহিকে একা মা অপরাজিতা তার তিন কন্যাকে বড় করে তোলে। দুই সন্তানকে একা মানুষ করা মা শ্বেতা যেন নিজেকেই মেলে ধরবেন সেই চরিত্রে।
কন্যা পলক তিওয়ারি এবং পুত্র রেয়াংশ অবশ্য মায়ের সঙ্গেই সুখী। পলক মিউজিক ভিডিয়ো এবং ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। মায়ের সঙ্গে মজাদার রিলস বানিয়ে নেট দুনিয়াতেও জনপ্রিয় তিনি। মা-মেয়েকে একসঙ্গে দেখতে পছন্দ করেন অনুরাগীরাও। ঠিক যেন দুই বন্ধু!
ছেলে রেয়াংশ সবে ছয় বছরে পড়ল। ব্যর্থ বিবাহিত জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা জানান, তিনি কোনও ভুল করেছেন বলে মনে করেন না। তবে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন 'বিয়ে' নামক প্রতিষ্ঠানে। চান না, পলকের জীবনেও সমস্যার ছায়া নামুক। শ্বেতার কথায়, “আমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে বলি না। তার জীবন, সে বুঝে নিক। আমি মনে করি না, সম্পর্কে থাকলেই সেটাকে বিয়ে অবধি নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক।”