যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের বক্স অফিসে একাধিক নজির সৃষ্টির পর এ বার বাংলাদেশে মুক্তির অপেক্ষায় ‘পাঠান’। পড়শি দেশে এই ব্লকবাস্টার ছবির পরিবেশনার উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশের পরিচালক তথা পরিবেশক অনন্য মামুন। এই ছবিকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা কী রকম তা জানতেই অনন্যর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, আগামী ৫ মে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খান অভিনীত এই ছবি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল ঢাকায় ইদে মুক্তি পাবে ‘পাঠান’। কিন্তু ছবি রিলিজ় করতে দেরি হল কেন? অনন্য বললেন, ‘‘আসলে চাইলেই বাংলাদেশে উপমহাদেশের কোনও ছবি যখন খুশি প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ় করা যায় না। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের কোনও ছবির বিনিময়ে ভারতীয় কোনও ছবি আমরা বাংলাদেশে রিলিজ় করতে পারি।’’ ‘পাঠান’-এর ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবিটি ভারতে পাঠানো হয়েছিল। তার বিনিময়ে ‘পাঠান’ প্রদর্শনের অনুমতি মিলেছে। এরই সঙ্গে অনন্য বললেন, ‘‘দেশীয় ছবির স্বার্থে আমাদের দেশের আইন বলে ইদ এবং পুজোর উৎসবের মরসুমে বিদেশি ছবি রিলিজ় করা যাবে না। তাই দেরি হল।’’
‘পাঠান’ এর পাইরেটেড কপি অনলাইনে সহজলভ্য। তার উপর ভারতে ওটিটিতেও মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এমতাবস্থায় প্রেক্ষাগৃহে এই ছবির ব্যবসা কি আশানুরূপ হবে? অনন্য বললেন, ‘‘যাবতীয় সরকারী অনুমতি নিয়ে এই প্রথম কোনও ভারতীয় হিন্দি ছবি বাংলাদেশের মানুষ প্রেক্ষাগৃহে বসে দেখবেন। ইতিমধ্যেই দারুণ সাড়া পাচ্ছি। আমার তো মনে হয় বাংলাদেশে ‘পাঠান’ একটা উৎসবের আকার নেবে।’’ এই প্রসঙ্গেই অনন্য দাবি করলেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ শাহরুখ খানকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। যশরাজের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনার সময় জানতে পারি, ‘পাঠান’-এর ট্রেলার সারা বিশ্বে যত মানুষ দেখেছেন তাঁর মধ্যে ৩৫ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশি!’’
অনন্য জানালেন বাংলাদেশে প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘পাঠান’। তাঁর কথায়, ‘‘ছবিটার প্রচুর চাহিদা। কিন্তু আমি আগে প্রেক্ষাগৃহের কাঠামো এবং প্রযুক্তিগত দিকটি বিচার করে তার পর সবাইকে ছবি দিচ্ছি।’’ বিদেশি ছবিমুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ছবিতে ইংরিজি সাবটাইটেল থাকতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকার ছবির সেন্সর করবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশে ‘পাঠান’-এর সেন্সর হওয়ার কথা। তার পর শুরু হবে অগ্রিম বুকিং। গত বছর কলকাতায় চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ‘হাওয়া’ ছবিকে ঘিরে এ পার বাংলার মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়েছিল। বিষয়টা নিয়ে অবগত অনন্য মামুন। ‘পাঠান’ কি দুই দেশের সিনেমা শিল্পের ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাবে? অনন্য বললেন, ‘‘অবশ্যই। ‘হাওয়া’র মাধ্যমে আমরা আশার আলো দেখেছিলাম। আগামী দিনে বাংলাদেশের ছবি আরও বেশি করে কী ভাবে ভারতে লিরিজ় করা যায়, আমরাও সেই চেষ্টা করছি।’’