পরিচালক-প্রযোজক সত্রাজিৎ সেন।
বাংলায় কথা বলে বিপদে পড়লেন পরিচালক-প্রযোজক সত্রাজিৎ সেন! আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে ফোনে হিন্দিতেই কথা বলছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ কথার পর অপরিচিত যুবকের কাছে বাংলায় কথা বলার অনুরোধ জানান। তখনই তাঁকে শুনতে হয়, ‘‘আপনি কি বাংলাদেশি? বাংলাদেশে থাকেন? জানেন না, এটা ভারত! আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দি। আপনার উচিত হিন্দিতে কথা বলা।’’ ডেলিভারি বয়ের কথা শুনে হতবাক পরিচালক। পরে সে কথা টুইট করতেই সত্রাজিতের সমর্থনে পাল্টা টুইট করেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পরিচালকের বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি নিয়ে অহেতুক চর্চা বা ঘটনার গায়ে রাজনৈতিক রং লাগানোর কোনও ইচ্ছে আমার নেই। কোনও ভাষা নিয়েও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ডেলিভারির বয়ের আক্রমণাত্মক ভঙ্গি আমার ভাল লাগেনি। তাই টুইটে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’
প্রকৃত ঘটনার উপরে আলো ফেলতে গিয়ে পরিচালক জানান, একটি নামি চশমার সংস্থা থেকে চশমা কিনেছিলেন। সমস্যা দেখা দেওয়ায় সংস্থাকে তা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেন তিনি। এর পরেই ডেলিভারি বয়ের ফোন। এবং ওই ধরনের অনভিপ্রেত মন্তব্য। সত্রাজিতের কথায়, ‘‘ছেলেটি যদি আমায় তাঁর বাংলা বোঝা বা বলার সমস্যার কথা জানাতেন, আমি মেনে নিতাম। তার কথায় যেন অন্য সুর। ডেলিভারি বয় যেন বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের মন্তব্যকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এখানেই আমার আপত্তি।’’ পাশাপাশি, বাংলাভাষীকে বাংলা বলা নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করতেই রে রে করে উঠেছেন সৃজিত। টুইটে তাঁর প্রশ্ন পরিচালককে, ‘কাঁচা বাংলায় উত্তর দিয়েছিস তো?’ এই মন্তব্য করার পরেই টুইটে তাঁর উদ্দেশেও পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। একই ভাবে পরমব্রতর দাবি, ‘খিস্তিটা বিশুদ্ধ বাংলায় হতে হবে, তবে আনন্দ।’ টুইট করেছেন অভিনেতা চন্দন রায় সান্যালও।
পরে যদিও গোটা ঘটনার জন্য পরিচালকের কাছে আন্তরিক ক্ষমা চায় সংস্থা। সত্রাজিৎ জানিয়েছেন, হায়দরাবাদ থেকে সংস্থার হয়ে শুদ্ধ বাংলায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এক কর্মী। যা তিনি ভিন্ন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে রাজ করতে আসা ডেলিভরি বয়ের কাছ থেকে পাননি।