Sandipta Sen

‘মান ভাঙানোর পদ্ধতি ব্যক্তিগত’, বর্ষপূর্তিতে সলজ্জ হেসে স্বামীকে নিয়ে বললেন সন্দীপ্তা

বাগ্‌দানের এক বছর পর সন্দীপ্তার উপলব্ধি, ‘‘সব মানুষের মধ্যে ভালমন্দ আছে। এখন হয়তো বুঝতে পারছি না, পরে বুঝতে পারব। কিন্তু আগে থেকেই কোনও কিছু দাগিয়ে দেওয়াতে বিশ্বাসী নই।”

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০৯
বছরপূর্তিতে স্বামী সৌম্যকে নিয়ে সন্দীপ্তার উপলব্ধি।

বছরপূর্তিতে স্বামী সৌম্যকে নিয়ে সন্দীপ্তার উপলব্ধি। ছবি: সংগৃহীত।

বছর দুয়েকের প্রেমপর্ব। ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বরে বাগ্‌দান। তার দিন কয়েকের মাথায় বিয়ে সারেন সন্দীপ্তা সেন। টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ। অনেকেই ভেবেছিলেন, কোনও নায়কই হবেন এই নায়িকার জীবনসঙ্গী। তবে গতে বাঁধা ধ্যানধারণায় হাঁটতে ভালবাসেন না সন্দীপ্তা। চাকুরীজীবী, বলা ভাল এক প্রযোজনা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বিয়ে সারেন অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে বাগ্‌দানের বছরপূর্তি হল তাঁদের। এই এক বছরে একে অপরকে যতটা না বুঝেছেন, স্বামীকে নিয়ে সন্দীপ্তার উপলব্ধি বেশি। আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বললেন, ‘‘এক বছরে এটাই বুঝেছি, একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারব না।’’

Advertisement

একটা বছর যে সৌম্যের সঙ্গে ভাল কেটেছে সে কথাই জানালেন অভিনেত্রী। এই ভাল থাকার পিছনে স্বামী সৌম্যকে এগিয়ে রাখলেন সন্দীপ্তা। কারণ মনের মানুষ হিসাবে বরাবর এমনই সমঝদার মানুষকেই চেয়েছিলেন তিনি। আর তা-ই পেয়েছেন। তবে সৌম্য কি নিখুঁত যাকে বলে ‘পারফেক্ট’? সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ সন্দীপ্তা। তাঁর কথায়, ‘‘আসলে পারফেক্ট বললে উল্টো দিকের মানুষটার উপর অহেতুক চাপ দেওয়া হয় বলে আমার মনে হয়। এতটুকু বলতে পারি, সৌম্য আর আমি দু’জনেই পরিণত মানুষ। অহেতুক চিৎকার করে ঝগড়া করি না। একে অপরের ভুল বোঝার চেষ্টা করি। কোথায় ত্রুটি হল, তা বোঝার চেষ্টা করি। সব মানুষের মধ্যে ভালমন্দ আছে। এখন হয়তো বুঝতে পারছি না, পরে বুঝতে পারব। কিন্তু আগে থেকেই কোনও কিছু দাগিয়ে দিতে বিশ্বাসী নই। তবে ভালবাসলে সবটাই সম্ভব।’’

স্বামীর যে গুণটা সব থেকে বেশি মনে ধরেছে অভিনেত্রীর, সেই প্রসঙ্গে জানান, এই এক বছরে কখনও রান্নাঘরে একা থাকতে দেননি। সব সময় সাহায্য করেন। রান্নাও তেমন ভাল করেন সৌম্য। স্বামীর প্রশংসা করতে করতেই বলেন, ‘‘ও ভীষণ ভাল। আমাকে কাজের জন্য যেমন উৎসাহ দেয়, তেমনই প্রয়োজনে বুঝিয়েও দেয়।’’ তবে স্বামীকে তুমি না, বরং তুই বলেই ডাকেন। যদিও সৌম্য তুমি সম্বোধনেই বিশ্বাসী। সন্দীপ্তার কথায়, ‘‘আমি যাদের নিজের মনে করি তাদের তুই বলে ডাকি। মাকেও কখনও কখনও তুই বলি। ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ বলতে পারেন।’’ সবে পথ চলা শুরু করছেন তাঁরা কিন্তু ঝগড়াঝাটি কি একদমই নেই? ঝগড়া হলে কী ভাবে মান ভাঙান? শুনেই সলজ্জ হাসি সন্দীপ্তার কথায়, ‘‘সেটা ব্যক্তিগত বলব না। তবে আমাকে ভীষণ যত্ন করে রাখে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন