মিঠুনের সোহাগ অনসূয়া মজুমদারকে। ছবি: সংগৃহীত।
একসঙ্গে বল ড্যান্স করেছেন, খুনসুটিও। মিঠুন চক্রবর্তী সোহাগ করে তাঁর গাল টিপছেন, ভীষণ মিষ্টি করে! অন্তত ফ্রেম তাই বলছে। রবিবার প্রকাশ্যে রাজ চক্রবর্তীর ‘সন্তান’ ছবির গান ‘তোমার আকাশে’। সেখানেই অনসূয়া মজুমদারের সঙ্গে তাঁর রসায়ন নিয়ে চর্চা।
মিঠুনের মিষ্টি করে আপনার গাল টিপে দেওয়ার দৃশ্য নিয়ে চর্চা বিস্তর? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন শুনে প্রথমে সামান্য থতমত খেয়েছেন অনসূয়া। তার পরেই হাসতে হাসতে জবাব, “মিঠুনদার সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছি। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘তাহাদের কথা’য়। তখনও অভিনয়ের সময় যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলেন। এ বারও তাই-ই। মানুষটাই খুব মিষ্টি। ওঁর সব কিছুই খুব মজার, মিষ্টি। আর গানের দৃশ্যের ফ্রেমটা তো বটেই।” অনসূয়ার পরিবারও নিশ্চয়ই দেখেছেন। কী বলছেন তাঁরা? ফ্রেমে প্রেম ছিল? অভিনেত্রীও রসিকতায় জবাব দিয়েছেন। বলেছেন, “পরিবারের প্রত্যেকে জানেন, আমি অভিনয় করি। তাই প্রত্যেকের ওই বিশেষ দৃশ্যই বেশি পছন্দ।”
সাল ১৯৯২। প্রয়াত পরিচালকের ছবিতে প্রথম পর্দাভাগ দুই অভিনেতার। মাঝে ৩২ বছরের লম্বা বিরতি। মিঠুন নিশ্চয়ই অনেক বদলে গিয়েছেন?
ভাবার জন্য একটুও সময় নেননি অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বদল হবেই। মিঠুন চক্রবর্তীরও হয়েছে। ব্যস, সেটুকুই।” ‘মহাগুরু’র অভিনেত্রীর মতে, আগেও সেটে প্রচণ্ড সকলের পিছনে লাগতেন। এখনও সেই স্বভাব রয়েছে। কেবল এ বার তিনি ছাড় পেয়েছেন। অনসূয়ারও বয়স বেড়েছে বলে? অভিনেত্রীর কণ্ঠে হাসির রেশ জানান দিয়েছে, অভিনেত্রী বিষয়টি বেশ উপভোগ করেছেন। বললেন, “মোটেই তা নয়! সেটে অন্য অনেক কমবয়সি অভিনেতা-অভিনেত্রীর ভিড়। মিঠুনদা তাঁদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতেছিলেন। আমি এ বার তাই ছাড় পেয়েছি।”
উল্লেখ্য, এই ছবির গানের মাধ্যমে রাজ আর জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অনেক দিন পরে জুটিতে ফিরেছেন। গানের সুর তাঁরই। এই গান দিয়ে বাংলা গানের দুনিয়ায় প্রথম পা রাখলেন বলিউডের বিশাল মিশ্র।