(বাঁ দিকে) দীপিকা পাড়ুকোন। ভিন ডিজ়েল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’, ‘এক্সএক্সএক্স’-এর মতো জনপ্রিয় হলিউড ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মুখ অভিনেতা ভিন ডিজ়েল। ২০১৭ সালে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে ‘এক্সএক্সএক্স: রিটার্ন অফ জ়্যান্ডার কেজ’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। চলতি বছরে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ সিরিজ়ের সাম্প্রতিকতম ছবি ‘ফাস্ট এক্স’-এও বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে বছরের শেষে অন্য কারণে শিরোনামে উঠে এলেন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির তারকা। ভিনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে মামলা করলেন তাঁর প্রাক্তন সহকারী। অ্যাস্ট্রা জোনাসনের দাবি, ভিনের সহকারী হিসাবে কাজ করার সময় নাকি এক হোটেলের ঘরে তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন তারকা।
ভিনের বিরুদ্ধে অভিযোগনামায় অ্যাস্ট্রা জানান, ২০১০ সালে অভিনেতার সহকারী হিসাবে কাজ করতেন তিনি। সেই সময় আটলান্টার এক হোটেলে তাঁর সঙ্গে জবরদস্তি করার চেষ্টা করেন ভিন। অ্যাস্ট্রার দাবি, ভিন তাঁর কাছাকাছি আসার চেষ্টা করলে তিনি হোটেলের ঘর থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে তাতে সফল হননি তিনি। বরং ভিন তাঁকে বিছানায় ঠেলে ফেলে দিয়ে তাঁর অন্তর্বাস খুলে জোর করে তাঁকে চুম্বন করার চেষ্টা করেন। সেই সময় নিজেকে বাঁচাতে কাছের একটি শৌচাগারে গিয়ে আশ্রয় নেন অ্যাস্ট্রা। সেখানে গিয়েই রেহাই পাননি তিনি। ভিন শৌচাগারে গিয়ে অ্যাস্ট্রাকে বাধ্য করেন তাঁর যৌনাঙ্গ স্পর্শ করতে। তার পরে সেখানেই নাকি হস্তমৈথুন ক্রিয়া শুরু করে দেন হলিউড তারকা। অ্যাস্ট্রা দাবি করেন, ভিনের ভয়ে নাকি তিনি চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলেন। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই নাকি তাঁকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেন ভিনের বোন সামান্থা ডিজ়েল। ঘটনাচক্রে, সামান্থা নাকি ভিনের ‘ওয়ান রেস প্রোডাকশন্স’-এর সভাপতি।
ভিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অ্যাস্ট্রা জানিয়েছেন, ভিনের নির্যাতনের পর নাকি আত্মবিশ্বাস মাটিতে মিশে গিয়েছিল তাঁর। যদিও অ্যাস্ট্রার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ভিনের আইনজীবী ব্রায়ান ফ্রিডম্যান। তাঁর দাবি, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ১৩ বছর পরে এই প্রথম এমন কোনও ঘটনার কথা শুনছেন তিনি, তা-ও মাত্র ৯ দিনের এক জন সহকারীর কাছ থেকে। এই অভিযোগ যে সত্য নয়, তা আমরা অনায়াসে প্রমাণ করতে পারব।’’ এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি ভিন নিজে।