ছবি: সংগৃহীত।
১৪ এপ্রিল সলমন খানের বাড়ির বাইরে যে হামলা চলে, তাতে যুক্ত ছিলেন অনেকেই। দিন কয়েক আগে রাজস্থান থেকে ধরা পড়েন মহম্মদ চৌধরি। তিনি বন্দুকবাজদের অর্থের জোগান দিয়েছিলেন, এমনকি, রেকি করার দিনেও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বলে অভিযোগ। রাজস্থান থেকে ধরা হয় এই তাঁকে।
এ বার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা আরও এক জনকে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম হরপাল সিংহ। সলমনের বাড়িতে হামলা চালানোর জন্য বন্দুকবাজদের নগদের জোগান দিয়েছেন এই হরপাল। যদিও হরপালের আগে গ্রেফতার করা হয় রফিককে। তিনিই রেকি করেছিলেন সলমনের বাড়ির গুলিকাণ্ডের আগে।
সলমন খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গুলি চালান বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যেরা। অভিনেতার বাড়ির দেওয়ালে দু’টি গুলি চালান তাঁরা। ফুটো হয়ে যায় অভিনেতার ফ্ল্যাটের দেওয়াল। গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসে মহারাষ্ট্র সরকার-সহ মুম্বই পুলিশ। দেরি না করেই তড়িঘড়ি শুরু হয় তদন্ত।
ঘটনার দু’দিনের মাথায় দুই বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর ধরা পড়েন সেই দু’জন, যাঁরা বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেন। তাঁরা অনুজ থাপন ও সোনু বিষ্ণোই। বন্দুকবাজদের বয়ান অনুযায়ী, সলমনের বাড়িতে তাঁরা ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন। তার পরে সুরাতের তাপ্তী নদীতে বন্দুক ফেলে দেন তাঁরা। শোনা গিয়েছে, এর মধ্যেই নদী থেকে একটি বন্দুক ও কিছু কার্তুজ উদ্ধার করেছে মুম্বই অপরাধ দমন শাখা। এ দিকে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীনই আত্মহত্যা করেন অনুজ। তার পরই ধরা পড়েন রফিক। শোনা যায়, বন্দুকবাজদের গুলি চালানোর জন্য হরপাল নাকি ২-৩ লক্ষ টাকা দেন।