অনেক কিছু খেতেন রুপালি, যাতে মাতৃদুগ্ধ তৈরি হয় শরীরে। কিন্তু একটা সময়ের পর তাঁর গোড়ালি আর চাপ নিতে পারত না। — ফাইল চিত্র।
ছোট পর্দায় তিনি বিপুল জনপ্রিয়, তবু যেন জীবন অধরাই রয়ে গিয়েছে রুপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের। বাংলার মেয়ে হয়ে নাম করেছেন মুম্বইয়ে। ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকের দৌলতে ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ তিনি। ‘অনুপমা’ ধারাবাহিকেও নতুন করে দর্শকের ভালবাসা পেয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের অপূর্ণতা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে রুপালির। মা হিসাবে নিজেকে তিনি ব্যর্থ মনে করেন।
২০১৩ সালে তাঁর বিয়ে হয় ব্যবসায়ী অশ্বিন কে বর্মার সঙ্গে। ২০১৫ সালে তাঁদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, সন্তানকে স্তন্যপান করাতে পারেননি তিনি। তাঁর স্তনে দুধ আসেনি। যে সমস্যা অনেক নারীরই হয়। মাতৃদুগ্ধ পান করানোর ক্ষেত্রে কী অসম্ভব চাপের মধ্যে পড়তে হয় মহিলাদের, সে কথাও ভাগ করে নেন রুপালি।
তিনি বলেন, “ যখন শিশু জন্মায়, মহিলারা সাংঘাতিক চাপ নেন নিজেদের উপর, কারণ সন্তানকে তখন শুধু মায়ের বুকের দুধই পান করানো যায়। আস্তে আস্তে সন্তান এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়। লোকজন নানা উপদেশ দিত তখন। কিন্তু আমি সব মাকে বলতে চাই, আমি নিজের সন্তানকে স্তনদুগ্ধ পান করাতে পারিনি। মা হিসাবে নিজেকে তাই ব্যর্থ মনে হয়।” ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরও জানান, তিনি সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছেন। ওজন বাড়াচ্ছিলেন। অনেক কিছু খেতেন, যাতে মাতৃদুগ্ধ তৈরি হয় শরীরে। কিন্তু একটা সময়ের পর তাঁর গোড়ালি আর চাপ নিতে পারত না।
রুপালির কথায়, “ছেলেকে নিয়ে বেরোলে চেনা-পরিচিতরা বলতেন, ‘আরে, তুই মনীষা না? কত মোটা হয়ে গেছিস!’ খুব ভাল করেই হয়তো বলতেন, কিন্তু আমার খারাপ লাগত।”
মা হিসাবে তাঁর যতই খারাপ লাগা থাকুক, দর্শক রুপালিকে ভালবাসেন। যে কোনও ধরনের চরিত্রে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন তিনি। দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মোস্ট ভার্সেটাইল অ্যাকট্রেস ইন অ্যা টেলিভিশন সিরিজ়’ বিভাগে সম্প্রতি পুরস্কার জিতেছেন অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে সে সব ছবি ভাগ করে নিয়ে সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, যাঁরা ‘অনুপমা’র দীর্ঘ যাত্রায় তাঁকে সমর্থন জুগিয়েছেন।