(বাঁ দিকে) ঋতাভরী চক্রবর্তী। দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
মা হতে চলেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর স্বামী রণবীর সিংহকে সঙ্গে নিয়ে উড়ে যান গুজরাতের জামনগরে। সেখানে অনন্ত অম্বানী- রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানে চুটিয়ে মজা করেন ক’টা দিন। কিন্তু, মুম্বইয়ে ফিরতে না ফিরতেই ব্যাগ ভর্তি উপহার পাঠালেন ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই উপহারের ছবি পোস্ট করে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
টলিউডের পাশপাশি বলিউডেও রীতিমতো যোগাযোগ রয়েছে ঋতাভরীর। গত কয়েক বছরে বেশ কিছু কাজও করেছেন সেখানে। তিনি টলিপাড়ার একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি শাহরুখ খান, সলমন খানের সঙ্গেই ডাক পান বাবা সিদ্দিকির তারকাখচিত ইফতার পার্টিতে। এ বার নারী দিবসে ঋতাভরীর জন্য একগুচ্ছ উপহার পাঠালেন দীপিকা।
কিন্তু কী ভাবে হল ঋতাভরী-দীপিকার বন্ধুত্ব? আনন্দবাজার অনলাইনকে ঋতাভরী বলেন, ‘‘আমাদের আসলে বন্ধুত্ব নেই। আমার সঙ্গে এক বারই দেখা হয়েছিল দীপিকার। তা-ও আবার ২০১৮ সালে পরিচালক-প্রযোজক দীনেশ বিজনের বিয়েতে। এক বারই তখন কথা হয়। তার পর শুক্রবার এমন একটা উপহার পেয়ে ভীষণ খুশি।’’
তবে ঋতাভরী দীপিকার এমন সৌজন্য দেখে অনেক কিছু শিখলেন বলেই জানান। খানিকটা খাতায় লিখে রাখার মতোও নাকি বিষয়টা। ঋতাভরীর কথায়, ‘‘আসলে দীপিকার প্রসাধনী সংস্থা নারী দিবস উপলক্ষে এমন কিছু নারীকে উপহার পাঠাতে চায়, যাঁরা স্ব-ক্ষেত্রে ভাল কাজ করেছেন। সেই উদ্দশ্যেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, হয়তো আমার স্টোরিতে ওঁর প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু লিখতে হবে। তবে তেমন কিছুই না। আমি নিজেই স্টোরিতে পোস্টটা দিই। আমি ভীষণ খুশি। পাশপাশি এটাও মনে হচ্ছে, দীপিকার মতো এমন এক জন তারকাও নতুন প্রজন্মের জন্য ভাবছেন ও তাদের উৎসাহিত করছেন। আসলে অন্য যে সব তারকার এমন প্রসাধনী ব্র্যান্ড রয়েছে, তাঁরা হালকা করে এ কথা ছুঁয়ে যান, যাতে তাঁদের প্রচারটা হয়। দীপিকা একেবারেই সে রকম নন। আমি এটাই শিখলাম ওঁর কাছ থেকে যে, সব কিছু জীবনে নিজের লাভের জন্য নয়, অন্যদের উৎসাহ দেওয়াটাই বিশালতার লক্ষণ।’’
অনেকেরই কৌতূহল, বলিউডের ‘মস্তানি’ কী পাঠালেন ঋতাভরীকে? নিজস্ব প্রসাধনী ব্যান্ড ‘৮২° ইস্ট’-এর বেশ কয়েকটি প্রসাধনী পাঠিয়েছেন দীপিকা। এ ছাড়াও রয়েছে সুগন্ধি মোম ও বাথরোব।