অভিনেত্রী রিচা চড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর গত বছর বিয়ে করেন রিচা চড্ডা এবং আলি ফজল। এক সময় রিচা নিজেই জানিয়েছিলেন যে আলিকে প্রেম নিবেদন করার পর অভিনেতা সম্মতি জানাতে ৩ মাস সময় নিয়েছিলেন। এ বার আলিকে নিয়ে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন রিচা। একই সঙ্গে নিজের কেরিয়ারের এক তিক্ত অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন অভিনেত্রী।
ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনদের সঙ্গে যে সব সময় ইউনিটে ভাল ব্যবহার করা হয় তা নয়। কখনও কখনও সেখানে সহ-অভিনেতাদের ঈর্ষাও খারাপ ব্যবহারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রিচাও কেরিয়ারের শুরুতে খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়েছিলেন। বলিউডে রিচার প্রথম ছবি ছিল ‘ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে’। এই ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শোনাতে গিয়ে রিচা বলেন, ‘‘কলেজ থেকে জ্বর গায়ে শুটিং করতে গিয়েছিলাম। এক জন দেরিতে আসবেন বলে তাঁর মেকআপ ভ্যান আমাকে ব্যবহার করতে বলা হয়।’’ ভ্যানে নিজের জিনিসপত্র রেখে সারা দিন শুটিং করেন রিচা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ইতিমধ্যে জানতে পারি, ভ্যান থেকে আমার সব জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সত্যিই খুব খারাপ লেগেছিল।’’
ওই সাক্ষাৎকারেই রিচা বলেছেন যে, তাঁদের বিয়ে নিয়ে মানুষ যে উৎসাহ দেখাবে এ রকম কোনও ধারণা এই দম্পতির ছিল না। এর কারণ হিসেবে ‘মসান’-খ্যাত অভিনেত্রী তাঁর এবং আলির মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। সফল দাম্পত্যের রহস্য কী? প্রশ্নের উত্তরে রিচা জানান যে, সমস্ত দায়িত্ব দু’জনে ভাগ করে নিতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনে রিচা এবং আলি সেটাই করে থাকেন। যেমন অভিনত্রী জানিয়েছেন, আলি যখন কাজে মুম্বইয়ের বাইরে থাকেন, তখন বাড়ির দেখভাল করেন রিচা। আবার স্ত্রী বাইরে থাকলে তখন বাড়ি পরিষ্কার থেকে শুরু করে বকেয়া বিল মেটানোর মতো সব কিছুই আলি করেন।
আলির সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে বন্ধুত্বের মোড়কেই দেখতে চান রিচা। কারণ তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর মধ্যে তিনি একটি শিশুকে দেখতে পান। বাড়িতে আলি হাসি-ঠাট্টা এবং মজার পরিবেশ তৈরি করেন। ফলে তাঁদের সংসারে ঝগড়া-অশান্তির কোনও অবকাশ নেই। তাঁর জীবনে আলির আগমন না ঘটলে তিনি যে কোনও দিন ছাঁদনাতলায় বসতেন না সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন রিচা।