মধুবালা ও দিলীপ কুমারের রসায়ন আজও ভোলেননি সিনেপ্রেমীরা। —ফাইল চিত্র।
বলিউডের সর্বকালের অন্যতম স্মরণীয় ছবি ‘মুঘল-এ-আজ়ম’। ওই ছবিতে দিলীপ কুমার ও মধুবালার রসায়ন আজও ভোলেননি সিনেপ্রেমীরা। পর্দার সেই প্রেমকাহিনির জল গড়িয়েছিল ক্যামেরার নেপথ্যেও। একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন রিল লাইফের সেলিম ও আনারকলি। শুধু প্রেমেই যে পড়েছিলেন তা নয়, প্রায় এক দশকের প্রেমের পর একে অপরের সঙ্গে সংসার পাতার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়ে ফেলেছিলেন দিলীপ কুমার ও মধুবালা। তার পরেও গাঁটছড়া আর বাঁধা হয়নি যুগলের। সামান্য এক জেদের কারণে প্রেম ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের।
১৯৫১ সালে ‘তারানা’ ছবির সেটে একে অপরের প্রেমে পড়েন দিলীপ কুমার ও মধুবালা। তার পরেও একাধিক ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন তাঁরা। ১৯৬০ সালে মুক্তি পায় তাঁদের সব থেকে জনপ্রিয় ছবি ‘মুঘল-এ-আজ়ম’। দিলীপ কুমার ও মধুবালার প্রেম যে পরিণতি পাবে না, সে কথা ঘুণাক্ষরে ভাবতে পারেননি তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। মধুবালার ভাই মধুর ভূষণ এক সাক্ষাৎকারে জানান, দিলীপ কুমার তাঁদের বাবার কাছে ক্ষমা চাইলেই সাতপাক ঘুরতে পারতেন যুগল। মধুর ভূষণ জানান, বিআর চোপড়ার ‘নয়া দৌড়’ ছবির জন্য সেই সময় শুটিং করছিলেন মধুবালা। হঠাৎ করে সিনেমার শুটিংয়ের জায়গা বদলে যাওয়ায় খেপে গিয়েছিলেন নায়িকার বাবা। মধুবালা ছবিতে আর কাজ করতে রাজি না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেন বিআর চোপড়া। সেই সময়, বিআর চোপড়ার হয়ে মধুবালার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন দিলীপ কুমার। এর ফলেই চিড় ধরে যুগলের সম্পর্কে। মধুর জানান, মধুবালা বার বার আবেদন করেছিলেন দিলীপকে তাঁর জেদ ভেঙে বাবার কাছে ক্ষমা চাইতে। নিজের জায়গা থেকে এক চুলও নড়েননি নায়ক। দিলীপ কুমারের এই জেদের ফলেই ভেস্তে যায় তাঁদের সম্পর্ক।
পরে সায়রা বানুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বলিউডের সেকালের জনপ্রিয় অভিনেতা। বয়সের পার্থক্যের জন্য বার বার আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁদের সম্পর্ক। মাত্র ২২ বছর বয়সে ৪৪ বছরের দিলীপকে বিয়ে করেন নায়িকা। পরে এক সাক্ষাৎকারে সায়রা জানিয়েছিলেন, ১২ বছর বয়সেই দিলীপ কুমারের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে, প্রখ্যাত গায়ক কিশোর কুমারের সঙ্গে সংসার পাতেন মধুবালা।