(বাঁ দিকে) মানসমুকুল পাল, মিঠুন চক্রবর্তী (ডান দিকে) ছবি: ফেসবুক।
প্রায় চার বছর ধরে স্বপ্ন দেখছেন, বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে বড় পর্দায় তুলে ধরবেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে মানসমুকুল পাল জানিয়েছেন, আগামী বছর তাঁর সেই স্বপ্নের ছবির শুটিং শুরু হতে পারে। এই ছবিতে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। থাকার কথা ছিল প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েরও। এ দিকে টলিউডে গুঞ্জন, আগামী ছবি শুরুর আগেই নাকি পরের ছবি নিয়েও কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। মানসমুকুলের পরের ছবিতেও নাকি থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। ছবিটি সম্ভবত বাবা-ছেলের গল্প নিয়ে হবে। প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে ক্যামেলিয়ার।
এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, ছবির প্রাথমিক নাম ‘অযান্ত্রিক’। অর্থাৎ, ঋত্বিক ঘটকের ছবির নামে নাম। খবর ছড়াতেই টলি পাড়ায় প্রশ্ন, কিছু দিন আগে বাবা-ছেলের গল্প নিয়ে রাজ চক্রবর্তী একটি ছবি বানিয়েছেন। প্রযোজনায় এসভিএফ। সেখানে মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে ঋত্বিক চক্রবর্তী। ক্যামেলিয়াও কি একই পথে হাঁটবে? এই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল মানসমুকুলের সঙ্গে। পরিচালক বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি নন। তাঁর কথায়, “আপাতত দীনেশ গুপ্তই আমার ‘পাখির চোখ’। চিত্রনাট্য তৈরি। যিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ‘সহজপাঠের গপ্পো’র মতো এই ছবিতেও এক ঝাঁক নতুন মুখ। মুখ্য অভিনেতাও নতুন।” তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ছবির শুটিং কলকাতা ছাড়াও বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ-সহ নানা জায়গায় হবে। পর্দায় তুলে ধরা হবে ১৯২৯ থেকে ১৯৩১ সালের সময়কাল। সেই সময়ের অবিভক্ত বাংলা, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ— সবিস্তার দেখানোর ইচ্ছে পরিচালকের।
অর্থাৎ, ইতিহাসাশ্রিত এই ছবিটি যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। তা হলে ‘দীনেশ গুপ্ত’ ছবির দায়িত্ব কি নেবে শহরের প্রথম সারির কোনও প্রযোজনা সংস্থা? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। তিনি বলেছেন, “আমার আগের ছবিতে টাকা ঢেলেছিলেন এমন কিছু মানুষ যাঁরা জীবনে কোনও দিন বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু তাঁরা ধনী। তাঁরা ছবির গল্পের সঙ্গে একাত্ম হয়ে খুশিমনে অর্থ দিয়েছিলেন। এ বারেও তেমনই কিছু মানুষ হয়তো ছবির জন্য লগ্নি করবেন।”