ঋতাভরী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য অস্ত্রোপচার হল তাঁর। তার মধ্যেই তাঁর ‘পরি’র লুক প্রকাশ্যে। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবি ‘বহুরূপী’তে ঋতাভরী চক্রবর্তী এই চরিত্রেই। ছিমছাম সাজে তাঁর চারটি ছবিই অনুরাগীদের পছন্দ হয়েছে। পর্দায় তিনি পুলিশ অফিসার সুমন্ত ঘোষালের স্ত্রী। পর্দার পুলিশ অফিসারের চরিত্রটি বাস্তবের দুঁদে পুলিশ অফিসার, আড়িয়াদহের ‘ত্রাস’ জয়ন্ত সিংহের তদন্তকারী অফিসারের জীবনের ছায়ায় তৈরি। সেই অনুযায়ী এক জন পুলিশ অফিসারের বৌয়ের জীবন কেমন? চরিত্রটি ফোটাতে গিয়ে কী দেখলেন ঋতাভরী? জানতে প্রথম ঝলক প্রকাশের পর আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে।
অভিনেত্রী বললেন, “পুলিশ স্বামী কখনওই তাঁর স্ত্রীর হন না। তিনি সবার আগে সমাজের।” এও জানিয়েছেন, তাঁর অভিনীত চরিত্র ‘পরি’র জীবন স্বামীসর্বস্ব। স্বামী ছাড়া আর কিছুই জানে না সে। ফলে, ‘সদা হারাই’ ভয় তার। এ দিকে, পেশার কারণে স্বামীর বদলি হয়ে যায়। একা বাড়িতে স্ত্রী সারা ক্ষণ ভয়ে কাঁটা। এই বুঝি স্বামীর কিছু হল। আরও নানা সমস্যা তার। সব মিলিয়ে যন্ত্রণাময় জীবন। এই চরিত্র ফোটাতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে নিজের সঙ্গে লড়তে হয়েছে ঋতাভরীকে।
তাঁর কথায়, “ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ কিংবা ‘ফাটাফাটি’তে সমাজে ঘটে চলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছি। ‘পরি’র যাবতীয় লড়াই নিজের সঙ্গে। স্বামীহীন খাঁ-খাঁ বাড়িতে একা জীবনযাপন, উজাড় করে ভালবেসেও তাকে না পাওয়ার যন্ত্রণায় প্রতি মুহূর্তে দীর্ণ সে। আমিও অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ। ফলে, চরিত্রটির সঙ্গে একাত্ম হতে গিয়ে ভিতরে ভিতরে রক্তাক্ত হয়েছি। এমনও হয়েছে, ‘পরি’র কথা ভাবতে ভাবতে কেঁদে ফেলেছি। চরিত্র থেকে বেরোতে তাই অনেক সময় লেগেছে।” চরিত্র হয়ে ওঠার আগে বাস্তবের পুলিশ অফিসারের স্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিলেন? ঋতাভরী জানিয়েছেন, শুটিং দেখতে শ্রীমন্তবাবুর স্ত্রী এসেছিলেন। ব্যস্ততার কারণে তাঁর সঙ্গে তেমন কথা হয়নি!
বাস্তবের ‘পরি’র কী হয়েছিল? জানেন না ঋতাভরী। তাঁর মতে, সেই রহস্য ছবির জন্য তোলা থাক। তিনি নিশ্চিত, তাঁর অভিনয় ‘পরি’ সম্পর্কে দর্শককে ভাবতে বাধ্য করবে। তারাই তখন প্রশ্ন তুলবে, ‘পরি’ কি শেষে পরিদের দেশে ডানা মেলে উড়ে গেল?