Rahul Gandhi & Rachana Banerjee

‘নিজেই হাত থেকে ফোনটা নিয়ে ছবি তুললেন রাহুল গান্ধী’, সংসদে তৃতীয় দিন কেমন কাটল রচনার?

সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আপাতত দিল্লিতেই রয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় দিনেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এক ফ্রেমে অভিনেত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ১৭:৩০
সংসদ ভবনে ফ্রেমবন্দি রাহুল গান্ধী-রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সংসদ ভবনে ফ্রেমবন্দি রাহুল গান্ধী-রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

গত বছরের ২৭ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়। সেই সংসদ ভবনেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচিত সদস্যেরা শপথ নিয়েছেন। প্রথম বারের জন্য সাংসদ হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত সাংসদ তিনি।

Advertisement

এর মধ্যেই লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতেই রয়েছেন রচনা। সংসদে তাঁর তৃতীয় দিন। এখন হুড়োহুড়ি করে বক্তব্য রাখা নয়, বরং কাজটা শিখতে চাইছেন। সবটা বুঝে নিতে চাইছেন। রচনা ছাড়াও এ বছর যে অভিনেত্রীরা সাংসদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কঙ্গনা রানাউত। যদিও রচনা জানালেন, কঙ্গনার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি। তবে দেখা যে হবে, তা নিয়ে তিনি আশাবাদী। এর মাঝেই রচনার নিজস্বীতে ধরা দিলেন রাহুল গান্ধী। আনন্দবাজার অনলাইনকে এই ছবির নেপথ্যের ঘটনাটি জানালেন অভিনেত্রী।

লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে ইনিংস শুরু করেছেন রাহুল। তৃতীয় দিনে রচনার সঙ্গে ছবি তুললেন তিনি। ছবিটি নিজের সমাজমাধ্যমে ‘পোস্ট’ করেছেন অভিনেত্রী। রচনা বলেছেন, ‘‘আসলে আমি নিজের একটি ছবি তুলছিলাম। তখন উনি নিজের থেকেই এসে বললেন, ‘আমি তোমার ছবি তুলে দিচ্ছি।’ আমার তো ভীষণ মাটির মানুষ মনে হল ওঁকে। ব্যক্তিগত স্তরে তাঁকে চিনি না, তবে মনে হল মানুষটি খুব ভাল।’’

সংসদের বাইরে প্রথম দিন একগুচ্ছ ছবি উঠছে, তবে সে সব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না রচনা। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘শুধু ছবি তুললে হবে না। কাজটা করতে হবে। সংসদে কথা বলতে হবে। যাতে হুগলির সমস্যার সমাধান হয়। সাহায্য কতটা পাব, জানি না! কিন্তু, আওয়াজ তুলতে হবে। সবে কাজ শুরু করেছি। প্রথমেই তো গোল মারা যায় না। একটু সময় নিয়ে দেখেবুঝে নিই সবটা।’’

তবে নতুন এই সংসদ ভবনের রূপ দেখে মুগ্ধ রচনা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘পুরনো পার্লামেন্ট আমি দেখিনি। আর কখনও রাজনীতিতে আসব ভাবিওনি। সবই ঈশ্বরের ইচ্ছে, তাই আমি জিতে এখন এখানে। তবে নতুন সংসদ ভবনের সবটাই মুগ্ধ করার মতো। এমন সম্মাননীয় একটা জায়গা, ৫০০-এর বেশি সাংসদের সঙ্গে সেখানে একসঙ্গে বসা, সেটাই বা কম কী!’’

এই মুগ্ধতার মাঝে অবশ্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রচনা। তিনি জানালেন, সব ক’টি অধিবেশনে হয়তো তিনি থাকতে পারবেন না। কারণ ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ শোয়ের প্রতিও দায়বদ্ধতা রয়েছে। শেষে রচনার সংযোজন, ‘‘অধিবেশ‌নের মাঝে বিরতি নিয়ে দিদি নম্বর ওয়ানের শুট করতে ফিরে যেতে হবে। ৩০ তারিখে আবার দিল্লি চলে আসব। আমার জন্য একটু কষ্টকর, কারণ দু’টি দিক সামলাতে হবে। হয়তো অধিবেশনে কিছু অংশ আমার ‘মিস্’ ‌হবে, কিন্তু কিছু করার নেই। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর জন্যই তো আজ সংসদে আসতে পেরেছি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement