প্রতিবাদে পথে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তপ্ত গোটা দেশ। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নিজের মতো করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ১৪ অগস্ট দেশের বাইরে থাকায় তিনি শাঁখ বাজিয়েছিলেন। তাই নিয়ে তুমুল কটাক্ষ করা হয়েছে তাঁকে। শনিবার নায়িকা নিজের শহরে। আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, “নানা কারণে শহরের বাইরে ছিলাম। কখনও দেশের বাইরে। বাইরে থাকলেও মন পড়ে ছিল এখানেই। শামিল হতে না পারলেও দূর থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি।” এ দিন সন্ধ্যায় তিনি আর্টিস্ট ফোরাম আয়োজিত গণ সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, এ খবর জানাতে ভোলেননি।
মন থেকে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের জন্য ঈশ্বরের কাছে ন্যায় চেয়েছেন। অথচ তাঁর প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে কটাক্ষের ঝড় সমাজমাধ্যমে। সে প্রসঙ্গ তুলতেই ঋতুপর্ণার জবাব, “কিছুই গায়ে মাখছি না। কোনও কটাক্ষের জবাবও দেব না। যাঁর যা মনে হচ্ছে, বলুন। আমরা শিল্পী তো। আমাদের অনুভূতি সকলে না-ই বুঝতে পারেন। কিন্তু আমি তো জানি, আমি কত কষ্টে আছি! রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারছি না। ভুললে চলবে না, আমারও কিন্তু মেয়ে আছে।” ঋষণাকে তাই আপাতত চোখের আড়াল করতে চাইছেন না তিনি। আর পাঁচ জন মায়ের মতোই সারা ক্ষণ আগলে রাখার চেষ্টা করছেন।
নায়িকার কথায়, “মুম্বই থেকে শহরে এসেছি শনিবারের অভ্যুত্থানে যোগ দেব বলে। না হলে শান্তি পাচ্ছিলাম না। আজ সকলের সঙ্গে পথে নেমে, পা মিলিয়ে কিছুটা হলেও হয়তো স্বস্তি মিলবে।” একই সঙ্গে তিনি নারী নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার। এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, “এত যন্ত্রণা সয়ে এক মেয়ের মৃত্যুবরণ করা! তা হলে কোথায় নিরাপদ আমরা?” তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনপ্রয়োগ এবং শাস্তিও চেয়েছেন। এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, যাতে বাকিরা অন্যায় করার আগে দু’বার ভাবে। তাঁর আশা, তাতে যদি নারীদের জীবন বদলায়।