নন্দিতা দত্ত।
মুম্বইয়ের পর পর্ন-কাণ্ডে জড়াল কলকাতার নাম। খাস মহানগরীর বুকে রমরমিয়ে চলছে পর্নোগ্রাফি তৈরির ব্যবসা। নিউটাউন থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল স্থানীয় প্রাইড হোটেল। অভিযোগ পাওয়ার তিন দিনের মাথায় বুধবার গ্রেফতার করা হয় পর্ন নায়িকা নন্দিতা দত্ত, তাঁর সঙ্গী মৈনাক ঘোষ এবং হোটেল কর্তৃপক্ষকে। হদিশ চলছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি অভিযুক্তদের। তাঁদের সঙ্গে রাজ কুন্দ্রার পর্ন-কাণ্ডের যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই তাঁদের বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়। চার দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে তাঁদের।
নিউটাউন থানা সূত্রে খবর, শুধু নন্দিতা এবং মৈনাক নন,পর্ন-কাণ্ডে জড়িত আরও অনেকে। তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একে একে উঠে আসবে এই কাণ্ডে জড়িত বাকিদের নাম। নন্দিতার বাড়ি দমদমে। মৈনাকের বাড়ি নাকতলা।
পুলিশ সূত্রে খবর, নন্দিতাই মূলত এই চক্রটি চালাতেন। মৈনাক চিত্রগ্রাহক। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁরা উঠতি মডেল এবং ‘ইচ্ছুক’ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। পুলিশ এ-ও জানিয়েছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাঁদের শ্যুটিং হত। ‘নিওফ্লিক্স’ এবং ‘রেডওয়াইপ টু’-তে দেখানো হত। মূলত বিদেশ থেকে ওই সব ক্লিপ আপলোড করা হত।
এই ঘটনার দিন কয়েক আগেই অর্ধনগ্ন ছবি তুলে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জয়শ্রী মিশ্র, প্রতাপ ঘোষকে। বিধাননগর সাইবার অপরাধ দমন শাখা গ্রেফতার করেছে তাঁদের। বিধাননগর থানা সূত্রে খবর, সেন্ট্রাল পার্কে এক তরুণীর অর্ধনগ্ন ছবি তুলেছিলেন প্রতাপ। তরুণীর রূপসজ্জার দায়িত্বে ছিলেন জয়শ্রী। পাশাপাশি এ-ও জানা গিয়েছে, শুধু এঁরাই নন কলকাতার বহু উঠতি মডেল, অভিনেত্রী অর্থের জন্য এই ধরনের কাজ স্বেচ্ছায় করে থাকেন।
মঙ্গলবারই পর্ন-কাণ্ডে বম্বে আদালত শিল্পার স্বামী রাজকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বম্বে হাইকোর্টে রাজের আইনজীবী অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এরই মধ্যে মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখা আদালতকে জানিয়েছে, রাজ ও তাঁর সহকারী রায়ান থর্পের চ্যাট থেকে অ্যাপ ‘হটশটস’-এর আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ২০২০-র অগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পর্ন-ব্যবসা বাবদ অন্তত ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে রাজের।
অভিযোগ, রাজের এই কাণ্ডে দেশের একাধিক উঠতি মডেলকে ব্যবহার করা হয়েছে। নন্দিতাও এঁদের মধ্যে রয়েছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।