শাকলায়েন এবং পরীমণি
ইউটিউবে সম্প্রতি একটি পুরনো ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের গুলশন বিভাগের এডিসি মহম্মদ গোলাম শাকলায়েনের জন্মদিন পালন করছেন সে দেশের অভিনেত্রী পরীমণি। নীল-কালো বেলুন দিয়ে সাজানো ঘর। একই রঙের বড় কেক শাকলায়েনের সামনে রাখা। হাত ধরে একসঙ্গে কেক কাটলেন তাঁরা। ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ গান ধরলেন ক্যামেরার পিছনের ব্যক্তি। গোলাপি পাড়ের কালো রঙের শাড়ি পরে রয়েছেন পরীমণি। গানের তালে তালে নেচে উঠছেন মাঝে মধ্যে। তার পরেই দেখা গেল, শাকলায়েনের মুখে এক টুকরো কেক রেখে সেই কেকেই কামড় দিলেন তিনি। তার পরে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খেলেন শাকলায়েনকে। তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের স্পষ্ট ইঙ্গিত ভিডিয়োয়। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে চার দিকে।
কিন্তু বিতর্কিত অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমের জেরে শাস্তি পেতে হয়েছে শাকলায়েনকে। পরীমণির সঙ্গে ‘অপেশাদার আচরণ’-এর জন্য শাকলায়েনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেই প্রসঙ্গে দিন দুয়েক আগে প্রেম ও যৌনতার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন প্রতিবাদ করে লিখেছিলেন, ‘পুলিশের এক কর্মকর্তা এক সুন্দরী নায়িকার প্রেমে পড়েছেন বলে অফিশিয়ালি শাস্তি পাচ্ছেন। প্রেমের চেয়ে ভয়াবহ অপরাধ এখন আর কিছু নেই বাংলাদেশে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে যৌনতার মতো ‘নিকৃষ্ট’ জিনিস আর কিছু নেই। তালিবানি রাজত্বের জন্য দেশটা অনেকদিন ধরেই একটু একটু করে তৈরি হচ্ছিল। এখন শুধু বাকি আছে সব মেয়ের গায়ে বাধ্যতামূলক বোরখা চড়ানো। আর প্রেম-ভালোবাসার কোনও গন্ধ পেলে মেয়েটিকে মাটিতে অর্ধেক পুঁতে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলা।’
শাকলায়েনের সরকারি বাসভবনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট ১৮ ঘণ্টা সময়.কাটিয়েছিলেন পরীমণি। সেই খবর প্রকাশ পেতেই পদক্ষেপ করে পুলিশ। বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, রাত্রিবেলায় একটি গাড়ি এসে থামল একটি বহুতলের সামনে। গাড়ি থেকে নামলেন পরীমণি। তাঁর সঙ্গে দেখা গেল একজন পুরুষ সঙ্গীকে। দু’জনে একসঙ্গে লিফটে উঠলেন। তখন পরীমণির পরনে সাদা পোশাক। কয়েক ঘণ্টা পরে যখন তাঁরা বেরোলেন পরীমণি তখন কালো পোশাকে।