Child Trafficing

শালিমারে শিশু বিক্রির ঘটনায় এ বার গ্রেফতার নার্সিংহোমের কর্মী

ধৃতের নাম সৌরভ অধিকারী। বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালিতে হলেও সে ঠাকুরপুকুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। সেখান থেকেই মঙ্গলবার রাতে তাকে ধরে সিআইডি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৬

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

শিশু বিক্রির অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করার পরে ওই চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও এক জনকে পাকড়াও করেছে সিআইডি। ধৃতের নাম সৌরভ অধিকারী। বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালিতে হলেও সে ঠাকুরপুকুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। সেখান থেকেই মঙ্গলবার রাতে তাকে ধরে সিআইডি। ওই এলাকার একটি নার্সিংহোমের কর্মী সে। এই নিয়ে শিশু বিক্রি চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি।

Advertisement

গত নভেম্বরে একটি শিশুকে বিক্রির অভিযোগে হাওড়ার শালিমার স্টেশনের বাইরে থেকে মানিক হালদার ও তার স্ত্রী মুকুল হালদারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। শিশু বিক্রি চক্রের পান্ডা মানিককে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিহারের পটনা ও গয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে সদ্যোজাতদের কিনে এনে কলকাতায় বিক্রি করত সে। এই চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন নার্সিংহোম ও আইভিএফ সেন্টারও জড়িত বলে দাবি তাদের। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সাঁতরাগাছি ও সোনারপুরেও বিক্রি করা হয়েছে সদ্যোজাতদের। এ ছাড়া, দিল্লি, হায়দরাবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের বিক্রি করত মানিক। সিআইডি জানতে পারে, সে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ওই চক্রে জড়িত। সৌরভ যে নার্সিংহোমের কর্মী, সেটির সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে। সেখানেই বছর দুয়েক আগে মানিকের সঙ্গে আলাপ সৌরভের।

তদন্তকারীরা জানান, সৌরভ দু’বছরের মধ্যে ক’টি শিশুকে বিক্রি করতে সাহায্য করেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। এক পুলিশকর্তা জানান, সৌরভ মানিককে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করত। সে বিহারে গিয়েছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সৌরভ বিভিন্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স পাশ করেছে। সিআইডি-র কাছে সৌরভের দাবি, সে অস্ত্রোপচারের সময়ে অপারেশন থিয়েটারে থেকে সাহায্য করত। এ ছাড়া, সে এক সময়ে উত্তরপ্রদেশে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। ঠিক কেমন কাজের সঙ্গে সে জড়িত ছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

সিআইডি সূত্রের খবর, শিশু বিক্রির তদন্তে সারোগেসি-যোগ উঠে এসেছে। সৌরভ তাতেই সাহায্য করত কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে সিআইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আগে ধৃত দম্পতিকেও ফের চার দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, দু’পক্ষকে মুখ‌োমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেক তথ্য উঠে আসবে। উল্লেখ্য, আগে মানিক তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। যার জেরে বিহারে দু’বার গিয়ে সিআইডি-কে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন