সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে এমনই পারিপাট্যের গল্প —ফাইল চিত্র
‘পাঠান’-এর শাহরুখ খানকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ‘টাইগার’ সলমন খান। তাই অতিথি চরিত্রে ‘ভাইজান’এর উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে দুই খানকে একসঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। ‘জিরো’ সিনেমায়। ‘পাঠান’-এর সংলাপ রচয়িতা আব্বাস তাইরেওয়ালা জানান, দুই নায়কের মহিমাই যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তা নিয়ে ভাবতে হয়েছিল দৃশ্য নির্মাণের সময়ে। চিত্রনাট্যে বহু বার অদলবদল করতে হয়েছে ওই অংশটুকু।
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে এমনই পারিপাট্যের গল্প। যদিও চিত্রনাট্য অনুযায়ী, শাহরুখ এক জন গুপ্তচর। ষড়যন্ত্র ফাঁস করে সে ধরে ফেলে আর এক গুপ্তচর জন আব্রাহামকে। যে একটি ঘাতক ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল বিশ্বে। সেই প্রচেষ্টা আটকে দেয় ‘পাঠান’। কিন্তু পথে আসে বাধা। যখন প্রতিপক্ষের হাতে মার খাচ্ছে ‘পাঠান’, প্রায় মরোমরো, সে সময় তাকে বাঁচাতে আসে সলমন অভিনীত চরিত্র ‘টাইগার’। এখানেই ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়োজন ছিল দৃশ্যায়নে।
আব্বাস বললেন, “'পাঠান’ আর ‘টাইগার’ আসলে দু’মুখো তলোয়ার। দু’জনকেই ঝলসে উঠতে দিতে হবে। তাই ভেবেচিন্তে দৃশ্যটা সাজাতে হয়েছে। দর্শক শুধু ‘পাঠান’ আর ‘টাইগার’-এ নয়, শাহরুখ আর সলমনেও যাতে মজে থাকেন।”
তাঁর কথায়, “সলমনের প্রবেশের সময় শাহরুখকে যাতে হীনবল বা খাটো মনে না হয়, সে নিয়েও ভাবতে হয়েছিল। সব মিলিয়ে উত্তেজনা এবং রোমাঞ্চের পারদ আরও কিছুটা চড়ানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য। তাই লাইনগুলো অনেক বার লিখতে হয়েছে। ভেবেচিন্তে।”