ক্যামেরার সামনে কিছুই করতে পারেননি সে বার। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিলেন। —ফাইল চিত্র
জীবনে যতই সাফল্য আসুক, শিকড় ভুলে যাওয়া যায় না। অতীত সব সময় মধুর হয় না, তবু তার থেকে পালাতে চান না সমীরা রেড্ডি। তাঁর মনে পড়ে যায় ১৯৯৮ সালের কথা। প্রথম অডিশন। ক্যামেরার সামনে কিছুই করতে পারেননি সে বার। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিলেন।
সম্প্রতি সাবেকি পোশাক পরা এক পুরনো ছবি দিয়ে সমীরা লিখলেন সেই স্মৃতির কথা। জানালেন, সিনেমার শুটিং ছিল। বিপরীতে ছিলেন দক্ষিণের তারকা মহেশ বাবু। সমীরার কথায়, “আমার প্রথম অডিশন, ১৯৯৮ সাল। মহেশ বাবুর সঙ্গে কাজ করতে এসেছিলাম। কিন্তু এত ভয় লাগছিল যে পারফর্ম করতে পারলাম না ক্যামেরার সামনে। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম, চাকরি করব। বছর দু'য়েক করিও, একটি কোম্পানিতে। ...তার পর সাহস ফিরে পাই। আমার প্রথম মিউজিক ভিডিয়ো ‘আহিস্তা কিজিয়ে বাতেঁ’ হয় এর পরই।”
সমীরাকে স্মৃতি রোমন্থন করতে দেখে পাশে এলেন অনুরাগীরা। ভালবাসা জানিয়ে বললেন, “সেই মিউজিক ভিডিয়ো এখনও এতটাই টাটকা যে, প্রায়ই দেখি।” আর এক জন বললেন, “ওই ভিডিয়োটা আমি যাঁদেরই ভালবাসি, তাঁদের পাঠিয়েছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ওটা বানানোর জন্য।”
২০০২ সাল। ‘ম্যায়নে দিল তুঝকো দিয়া’ ছবিতে রুপোলি পর্দায় আত্মপ্রকাশ সমীরার। সোহেল খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ১০ বছর আগে অস্বস্তিকর একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। সবাই যখন প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে ‘সুন্দর’ হয়ে উঠছিলেন, সমীরা সেই পথে যাননি। যার জন্য এখন নিজেকে ধন্যবাদ দেন।