ছবির কাজের পাশাপাশি এ বছর জাতীয় স্তরের এক বস্ত্র বিপণির পুজো-মুখ নুসরত।
বিতর্ক, সংসার, সন্তান... সব নিয়েই ছন্দে ফিরছেন নুসরত জাহান। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও সাজসজ্জার ছবি তুলেছেন। কিন্তু ছবির কোনও কাজ হাতে নেননি। সোমবার ছবির কাজে ফের ক্যামেরার মুখোমুখি তিনি। এমন দিন উদযাপন ছাড়া যে বৃথা! সে কথা মনে ছিল তাঁর রূপসজ্জা শিল্পীদের। ১ অক্টোবর সুদেষ্ণা রায়, অভিজিৎ গুহ-র আগামী ছবি ‘জয় কালী কলকাত্তেওয়ালি’র কাজ করতে রাজারহাটে এসেছিলেন সাংসদ-তারকা। সেখানেই মেকআপ ভ্যানে তাঁর জন্য ছিল চমক।
‘রাকা’ হয়ে ওঠার জন্য রূপটান-গাড়িতে পা রাখতেই অভিনেত্রীকে সবাই উপহার দেন 'লাল মখমল' কেক। রূপসজ্জা শিল্পীরা হাসিমুখে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর জন্য। খুশি নুসরতও। কেক কেটে আগে নিজেই তাতে কামড় বসান। তার পর ভাগ করে দেন সবাইকে। নুসরত অভিনীত চরিত্র সম্বন্ধে এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘রাকা’ তথাকথিত নায়িকাসুলভ চরিত্র নয়। ছবিতে তিনি এই প্রজন্মের প্রতিনিধি। রাকা একা থাকে। নাচ শিখিয়ে উপার্জন করে। ছবির নায়ক সোহমকে ঠিক পথের দিশা দেখায়। এর জন্য তাকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। লড়াই করতে হবে। নুসরত কি তা হলে অ্যাকশনেও অংশ নেবেন? পরিচালক জানিয়েছেন, সরাসরি অ্যাকশন না করলেও চুপচাপ বসে থাকবেন না অভিনেত্রী। দরকারে নিজেকে নিজেই রক্ষা করবেন। কেমন চেহারা হবে ‘এসওএস কলকাতা’র ‘আমান্ডা’র? আধুনিক, কিন্তু উগ্র নয়, দাবি সুদেষ্ণার। তাঁকে স্কার্ট-স্প্যাগেটি বা কুর্তা-ট্রাউজারে দেখা যাবে। সারা ছবিতেই হাল্কা সাজ থাকবে নুসরতের। যাতে একই সঙ্গে স্নিগ্ধ অথচ সুন্দর দেখতে লাগে।
ছবির কাজের পাশাপাশি এ বছর জাতীয় স্তরের এক বস্ত্র বিপণির পুজো-মুখ নুসরত। আধুনিক কিন্তু সনাতনী সাজে সেজে ওঠা তারকা সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে সামনে এনেছেন শুভ-অশুভর দ্বন্দ্বকে। নিজের জীবনের উদাহরণ তুলে ধরে লিখেছেন, ‘অনেক সমস্যা এবং বাধা আমাদের দরজায় সারাক্ষণ কড়া নাড়ে। আমি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সে সবের মোকাবিলা করেছি। অভিনেতা এবং জনপ্রতিনিধির ভূমিকায় তাই আমি জয়ী। দেবী দুর্গার বোধনের আগে আপনাদেরও সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে এ ভাবেই লড়তে অনুরোধ করব।’