ত্রিপুরা হয়ে কলকাতায় আসার পথে আগরতলা স্টেশনে গ্রেফতার তিন বাংলাদেশি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ত্রিপুরা হয়ে কলকাতায় আসার পথে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার বিকেলে আগরতলা স্টেশন থেকে তাঁদের পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের নাম ছোটন দাস, বিষ্ণুচন্দ্র দাস এব মুহাম্মদ মালিক। ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালিতে। প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ, আগরতলা হয়ে কলকাতায় আসার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগরতলা রেল পুলিশ, আরপিএফ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী এক যৌথ অভিযান চালায় আগরতলা স্টেশনে। সেই সময়ে ধৃতদের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারে তাঁরা বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তাঁরা ভারতে আসার কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। বেআইনি ভাবে তাঁরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন বলে সন্দেহ করছে তদন্তকারী দল। এ দেশে থাকার কোনও বৈধ নথিপত্র দেখাতে না-পারার কারণে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, আগরতলা থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় আসার পরিকল্পনা ছিল অনুপ্রবেশকারীদের। সেই উদ্দেশ্যেই আগরতলা স্টেশনে এসেছিলেন ওই তিন বাংলাদেশি। সোমবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে বলে রেল পুলিশ সূত্রে খবর।
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় অসমেও ছয় বাংলাদেশি ধরা পড়েছেন। সোমবার সকালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, তাঁদের আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অসমের কোন অঞ্চল থেকে ওই ছ’জন ধরা পড়েছেন, তা উল্লেখ করেননি হিমন্ত।
পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের ঠাণে থেকেও রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ আট বাংলাদেশি নাগরিককে। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই অনুপ্রবেশকারীরা বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার এবং রবিবার ঠাণের একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশি হানায় ধরা পড়েন আট বাংলাদেশি। ধৃতদের কারও বয়স ২২ বছর, কারও ৪২ বছর। তাঁদের কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ দিনমজুর, আবার কেউ জলের পাইপ সারানোর কাজ করতেন। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে কেউই ভারতে থাকার জন্য কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি।