Nawazuddin Siddiqui

স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে একগুচ্ছ কাদা ছোড়াছুড়ি! অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নওয়াজ়উদ্দিন

একের পর এক অভিযোগ নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী-ভাই সকলেই কিছু না কিছু অভিযোগ এনেছেন। অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেতা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ১৪:০১
Nawazuddin Siddiqui breaks his silence on controversy with wife and kids gave an official statement

স্ত্রীর একের পর এক অভিযোগ সত্ত্বেও কেন চুপ করেছিলেন নওয়াজ়, সে উত্তরও দিলেন অভিনেতা। ফাইল চিত্র।

দিন কয়েক ধরেই নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির দাম্পত্য কলহ যেন চর্চার কেন্দ্রে। শুধু স্ত্রী নয়, অভিনেতার ভাইও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ-এনেছেন। পাল্টা অভিযোগ, পারস্পরিক কাদা ছোড়াছুড়ি চলছিলই। এ বার নিজের তরফ থেকে বিবৃতি দিলেন নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি। স্ত্রী আলিয়ার আনা প্রায় সব অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন। পাশপাশি জানিয়েছেন, তাঁর দুই সন্তান শোরা ও ইয়ানিকে স্ত্রী আটকে রেখেছেন। কিন্তু স্ত্রী একের পর এক অভিযোগ করা সত্ত্বেও কেন চুপ করেছিলেন নওয়াজ়, সে উত্তরও দিলেন অভিনেতা।

নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, তাঁর স্ত্রী কেবলই অর্থ চান, সেই কারণেই এত কিছু করছেন। অভিনেতার কথায়, এত দিন ধরে যা কিছু হয়েছে, তাতেই আমাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। আসলে আমি এত দিন চুপ ছিলাম আমার দুই সন্তানের কথা ভেবে। আমি চাইনি, তারা এ রকম কোনও ঘটনার মধ্যে জড়িয়ে পড়ুক।’’ যে প্রশ্নটা বার বার উঠেছিল, নওয়াজ়-আলিয়া কি বিবাহিত, না কি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। অভিনেতা বলেন, ‘‘বহু বছর ধরেই আমরা আলদা থাকছি, আমাদের বিবাহবিচ্ছেদও হয়ে গিয়েছে। গত ৪৫ দিন ধরে আমার ছেলেমেয়েরা স্কুল কামাই করছে, দুবাই থেকে চিঠি আসছে। আসলে ওদের মা বাচ্চাদের আটকে রেখেছে।’’

Advertisement

বিতর্কের শুরু হয় যখন নওয়াজ় নাকি বাড়ি থেকে বার করে দেন তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে। বাবা হয়ে দায়িত্ব নিতে নারাজ নওয়াজ়, কোনও ধরনের আর্থিক সাহায্য পর্যন্ত করেন না। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে অভিনেতা বলেন, ‘‘আলিয়া যা বলছেন, গোটাটাই মিথ্যে। তিনি মুম্বইতে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন স্ত্রীকে। শুধু তা-ই নয়, দুবাইতেও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে স্ত্রী ছেলে-মেয়ের জন্য। মাসে ১০ লক্ষ টাকা দেন স্ত্রীর হাতখরচ বাবদ। সন্তানদের স্কুলের খরচ, ঘুরতে যাওয়া সে সব যদিও আলাদা। শুধু তা-ই নয়, আলিয়ার তিনটি ছবিতে কোটি টাকার উপর বিনিয়োগ করি, যাতে ওর অর্থনৈতিক সমস্যা না হয়।’’

শেষে অভিনেতার সংযোজন, ‘‘আলিয়ার শুধুই টাকার চাহিদা। আগেও এই ধরনের কাজ করছে। এখন ও চাহিদাগুলো না মেটাতে পারায় অযৌক্তিক সব অভিযোগ এনে আমার সম্মান, আমার কেরিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অভিভাবক হিসাবে আমি কখনওই চাইব না, আমার সন্তানের কোনও ক্ষতি হোক, তাদের কেরিয়ার নষ্ট হোক। আর আমার সঞ্চিত সব অর্থই আমার দুই সন্তানের জন্য।’’

আরও পড়ুন
Advertisement