(বাঁ দিকে) হার্দিক পাণ্ড্য। নাতাশা স্তানকোভিচ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক মাস ধরেই জল্পনা, হার্দিক পাণ্ড্য ও নাতাশা স্তানকোভিচের সংসারে নাকি ভাঙন ধরেছে। সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন নাতাশা। তবু চুপ ছিলেন হার্দিক। তবে ক্রিকেট তারকার সেই মৌনতা ভাঙল বিশ্বকাপ জেতার পর।
২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। জেতার পরে মাঠে বসে হাউ হাউ করে কেঁদেছেন হার্দিক। তার পরই সটান ভিডিয়ো কল। মাঠে বসে ভিডিয়ো কলেই আবেগ উজাড় করে দিয়েছেন ক্রিকেট তারকা। নেটাগরিকদের একাংশের অনুমান ছিল হার্দিক হয়তো স্ত্রী নাতাশার সঙ্গেই কথা বলছেন। সম্পর্ক হয়তো জোড়া লেগেছে। কিন্তু নতুন করে জল্পনা ঘনীভূত হল নাতাশার জন্য। হার্দিকেরা বিশ্বকাপ জেতার পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্বামীকে নিয়ে এক বর্ণও খরচ করেননি নাতাশা।
অনেকেই ভেবেছিলেন তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের খবর হয়তো গোটাটাই ভুয়ো। হার্দিকের ভাবমূর্তি ঠিক করতেই এই ধরনের প্রচার নিজের জনসংযোগ রক্ষাকারী টিমকে দিয়ে নাতাশাই করিয়েছেন। সকলেই তাই অপেক্ষায় ছিলেন গত ছয় মাস ধরে যে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে হার্দিককে, ভারত বিশ্বকাপ জেতার পর হয়তো সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খুলবেন নাতাশা।
কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় কোথাও নেই হার্দিকের জয়ের কোনও চিহ্ন। তিনি ক্রিকেট তারকাকে শুভেচ্ছা জানাননি এক বারের জন্যও। তার পর থেকেই খোঁজ শুরু হয় তা হলে কোন কাজে ব্যস্ত নাতাশা। তাতেই দেখা গিয়েছে কখনও নিজে সেজেগুজে ছবি দিয়েছেন, কখনও মুম্বইয়ের রাস্তায় গাড়ি চালানোর মতো নানা রকমের ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। নাতাশা ব্লগিং করেন। নিজের দৈনন্দিন রোজনামচা তুলে ধরেন ভিডিয়োতে। যদিও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছেলের ছবি দিয়ে নাতাশা বুঝিয়ে দিয়েছেন আপাতত গোটা সময়টা তিনি ছেলে অগস্ত্যকেই দিচ্ছেন।