Nargis Fakhri

রোজ পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হত! মানুষের কত রূপ, ইন্ডাস্ট্রিতে এসে বুঝেছেন নার্গিস

আগে ছিলেন সরল-সাদাসিধে মানুষ। ইন্ডাস্ট্রিতে এসে বিপদে পড়েছিলেন। এক ঝটকায় অনেক কিছুই বদলে নিতে হয়েছে নার্গিসকে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ১৬:১৮
পর্দার বাইরে তেমন তুখোড় হতে পারেননি নার্গিস।

পর্দার বাইরে তেমন তুখোড় হতে পারেননি নার্গিস।

ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই ছকভাঙা অভিনয়। নার্গিস ফখরিকে লোকে আবিষ্কার করেন ‘রকস্টার’ ছবির ‘হির’ চরিত্রে। যে চরিত্রে অনেক বলিউড অভিনেত্রীই নাকি বাতিল হয়েছিলেন। তার পর একে একে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘ম্যায় তেরা হিরো’, ‘হাউসফুল’-এর মতো ছবিতে দর্শকের মন কেড়েছেন অভিনেত্রী। যদিও ব্যক্তিজীবনে নাকি অতটা তুখোড় হতে পারেননি নার্গিস।

আগে ছিলেন সরল-সাদাসিধে মানুষ। ইন্ডাস্ট্রিতে এসে বিপদে পড়েছিলেন। এক ঝটকায় অনেক কিছুই বদলে নিতে হয়েছে তাঁকে। এখনও প্রতিনিয়ত নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন মায়ানগরীর ছন্দে। কেমন ছিল অনভ্যস্ত নতুন জীবন? আজকে কিছুটা থিতু হয়ে কেমন লাগে অতীতকে? এই সব প্রশ্নের উত্তরে এক সাক্ষাৎকারে অকপট হলেন নার্গিস।

Advertisement

নার্গিস বললেন, “আমি জানতামই না, কী ভাবে নতুন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। এতটাই সৎ আর সরল ছিলাম যে, কূটকচালি বুঝতাম না। কিন্তু মুখ লুকিয়ে থাকলেও যে চলে না! বহু মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে সব রকম পরিবেশে কথা বলতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন ছিল লোকদেখানো সৌজন্যবোধ, সেই কাজটা আমি তেমন ভাবে পারিনি। আমাকে সবাই বেমানান হিসাবেই চিনেছিল। রোজ পালিয়ে যেতেও ইচ্ছে হত।”

এখন নার্গিস জানেন, ইন্ডাস্ট্রির মানুষের তিন রকম সত্তা। তাঁরা কখনও ব্যবসায়ী, কখনও শিল্পী আবার কখনও ঘরোয়া মানুষ। এর মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রত্যেক দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে সার বুঝেছেন অভিনেত্রীও। টানা আট বছর পড়ে ছিলেন মুম্বইয়ে। এক বারও পরিবারের কাছে ফেরার সময় পাননি। আর শরীর-স্বাস্থ্য? সে সবের খেয়াল রাখতে পেরেছিলেন কি?

নার্গিসের কথায়, “নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছিল। হয়তো অবসাদও এসেছে। নিজেকে প্রশ্ন করেছি বহু বার, এখনও কেন পড়ে আছি? দু’বছরের বিরতি নিয়েছিলাম, নিজেকে সুস্থ করতে। আমেরিকায় গিয়ে যোগাভ্যাস করতাম। ধ্যান করতাম। তার পর আবার ফিরে আসি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement