Rana Sarkar

‘ক্ষতিপূরণের লোভে এটা অশোক এবং হিমাংশু ধানুকার সাজানো ঘটনা’, টলিপাড়ার অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক রানা

কুঁদঘাটের নানুবাবুর বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এই আগুন লাগল কী ভাবে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ১২:৩৯
বৃহস্পতিবার সারা দিন কুঁদঘাট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়েই উত্তাল ছিল টলিপাড়া।

বৃহস্পতিবার সারা দিন কুঁদঘাট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়েই উত্তাল ছিল টলিপাড়া। ছবি: তীর্থঙ্কর দাস।

বৃহস্পতিবার কুঁদঘাট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই ‘এসকে মুভিজ’-এর গোডাউন। নষ্ট হয়ে গিয়েছে শুটিংয়ে প্রয়োজনীয় আসবাব, আলো এবং বেশ কিছু ক্যামেরাও। এ প্রসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে কানাঘুষো, আগুন আদৌ লেগেছে নাকি লাগানো হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সারা দিন এই অগ্নিকাণ্ড নিয়েই উত্তাল ছিল টলিপাড়া।

আগুন কী করে লাগল সেই জল্পনা চলছিলই। অগ্নিকাণ্ডের দিন আনন্দবাজার অনলাইনকে ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, যে অঞ্চলে এই স্টুডিয়ো গড়ে উঠেছে, সেই জমি নিয়ে এমনিই বিতর্ক রয়েছে। স্বরূপ বলেন, “স্টুডিয়োয় আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। ফলে শুধু স্টুডিয়ো নয়, ক্ষতি হয়েছে আশপাশের বস্তিতেও। প্রায় ১৪টি চাল পুড়ে গিয়েছে...।” কেন স্টুডিয়োয় কোনও অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিল না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

সকাল সকাল সেই আগুনেই ঘি ঢাললেন প্রযোজক রানা সরকার। তাঁর দাবি, এটা সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা। রানা বলেন, “অশোক ধানুকা এবং হিমাংশু ধানুকার বিরুদ্ধে অনেক আইনি মামলাও আছে। আমার সইও জাল করেছিল ওরা। ছবি চুরি এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। অনেক টাকা ধার বাজারে। তাই এই মর্মে বিমা কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার আশায় এই ঘটনা ইচ্ছা করে ঘটানো হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে শুটিংয়ের সরঞ্জাম সরবারহ করে এসকে মুভিজ। অনেক প্রযোজনা সংস্থা বা শুটিংয়ে দল তাদের কাছ থেকেই ভাড়া নেয় নানা রকম যন্ত্রপাতি। স্বাভাবিক ভাবেই গোডাউনের অগ্নিকাণ্ডে নড়ে বসেছে গোটা ইন্ডাস্ট্রি। অনেকেরই কপালে ভাঁজ পড়েছিল, তাঁদের শুটিংয়ে কোনও রকম প্রভাব পড়বে কি না। তবে এত ক্ষতির পরও সব রকম ভাবে ইন্ডাস্টিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত ‘এসকে মুভিজ’। এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন অশোক ধনুকা এবং হিমাংশু ধনুকা। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করে সংস্থারই এক কর্মীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমাদের ভাল ক্যামেরাগুলো অন্য স্টুডিয়োয় রাখা। এখানে পুরনো ক্যামেরা ছিল। তবে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। ফরেন্সিক টিম তদন্ত করছে। আজ রাতেই রিপোর্ট আসবে কী ভাবে আগুন লাগল।”

নভেম্বরের মাঝে বেশ কিছু ছবির জন্য লন্ডনে শুটিং করতে যাওয়ার কথা প্রযোজনা সংস্থার। সেই শুটিং কি হবে? সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিদেশের শুটিং নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। যেমন শুটিং হওয়ার কথা হবে। আর আশা করা যায় এই সমস্যাও খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement