Soha Ali Khan

‘৮৪ বছরের জন্মদিন খুব আনন্দে কাটাও’, নবাবকে শুভেচ্ছা জানাল দৌহিত্রি ইনায়া

রবিবার সকাল সকাল বাবার জন্মদিন পালন করলেন সোহা আলি খান। সঙ্গী তাঁর স্বামী কুণাল খেমু আর সাত বছরের মেয়ে ইনায়া। ছোট্ট এক টুকরো সাদা কেক, তার উপরে কমলা রঙের গাজর আঁকা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৩
mansoor ali khan pataudi birth anniversary Soha ali khan visits dads grave with daughter inaaya who pens handwritten note

বাবার জন্মদিন পালন করলেন সোহা আলি খান, সঙ্গী তাঁর স্বামী কুণাল খেমু আর সাত বছরের মেয়ে ইনায়া। ছবি: সংগৃহীত।

সবুজে ঘেরা কবরস্থান— শান্ত, নিরিবিলি। তারই মধ্যে মোমবাতি নিভিয়ে, কেক কেটে জন্মদিন পালন করল ছোট্ট ইনায়া। দাদুর জন্মদিন।

Advertisement

সুন্দর সাজানো বাগানের মধ্যে পতৌদির নবাব মহম্মদ মনসুর আলি খানের সমাধি, শ্বেত পাথরের জাফরি ঘেরা। সবুজ লতাপাতার মধ্যে মাঝখানে সাদা পাথরে সমাধিফলকে লেখা— ‘আমার মৃত্যুর পর আমাকে ভালবেসো, আর আমাকে মরতে দিও না’।

২০১১ সাল থেকে যেন এ কথাই উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে ভারত ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের জীবনে। সে বছরই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। ৫ জানুয়ারি তাঁর জন্ম ১৯৪১ সালে। রবিবার সকাল সকাল বাবার জন্মদিন পালন করলেন সোহা আলি খান। সঙ্গী তাঁর স্বামী কুণাল খেমু আর সাত বছরের মেয়ে ইনায়া। ছোট্ট এক টুকরো সাদা কেক, তার উপরে কমলা রঙের গাজর আঁকা। মেয়ের সঙ্গে কেকের উপর বসানো মোমবাতিতে ফুঁ দিলেন সোহা, কুণালও। তার পর সেই কেক তাঁরা বসিয়ে দিলেন সমাধি ক্ষেত্রের উপর।

সোহা তাঁর ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছেন একগুচ্ছ ছবি। লিখেছেন, “আজ ৮৪”, সঙ্গে একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি। সেখানেই দেখা যাচ্ছে বাবা, মায়ের সঙ্গে প্রার্থনা করছে ছোট্ট ইনায়া। কেকে সঙ্গে একটি ছোট্ট চিঠিও হাতে লিখে দিয়েছে সে। ইনায়া লিখেছে, “শুভ জন্মদিন, মেরি ক্রিসমাস এবং শুভ নববর্ষ। আশা করি তুমি ভাল আছ। যাই হোক, তোমাকে খুব ভালবাসি। তোমার জন্মদিন খুব আনন্দে কাটাও। অনেক ভালবাসা, ইনায়া।”

দৌহিত্রির এই চিঠি যেন আরও একবার মূর্ত করে তুলেছে মনসুর আলি খানের সমাধিফলকের লেখাগুলিকে, “আমার মৃত্যুর পরও আমাকে ভালবেসো, আমাকে মরতে দিও না।” সত্যিই যেন মাতামহের প্রতি অপার্থিব ভালবাসা ছড়িয়ে দিয়েছে ইনায়া। নেটাগরিকেরা ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাকে।

মনসুর আলি খান পতৌদি ভারতীয় ক্রীড়া জগতে ‘টাইগার’ নামে পরিচিত। ১৯৬১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ৪৬ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। অধিনায়কত্ব করেছেন ৪০টি ম্যাচে। ১৯৬৬ সালে শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন সন্তান— সইফ আলি খান, সাবা আলি খান এবং সোহা আলি খান। ২০১৪ সালে সোহা বিয়ে করেন অভিনেতা কুণাল খেমুকে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম হয় তাঁদের একমাত্র কন্যা ইনায়া নাউমি খেমুর।

Advertisement
আরও পড়ুন