Manomay Bhattacharya-Mekhla Dasgupta

প্রতিবাদের শহরে পুজোর গানে বিশেষ চমক! সমালোচনার কথা ভাবছেন না মনোময়-মেখলারা

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পীরাও। নতুন গান প্রকাশের পরে সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৮
Manomoy Bhattacharya, Mekhla Dasgupta, Sovan Ganguly, Ujjaini Mukherjee, Prashmita Paul, Snigdhajit Bhowmik to come up with a Pujo special song

(বাঁ দিকে) মনোময় ভট্টাচার্য। মেখলা দাশগুপ্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

পুজোর গানের অপেক্ষায় থাকেন সঙ্গীতপ্রেমীরা। এ বারও পুজো উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে বেশ কয়েকটি বাংলা গান। তাদের মধ্যে অন্যতম ‘উমা এলো বাপের বাড়িতে’। আশা অডিয়োর এই গান গেয়েছেন মনোময় ভট্টাচার্য, মেখলা দাশগুপ্ত, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, উজ্জ্বয়িনী মুখোপাধ্যায় ও প্রস্মিতা পাল।

Advertisement

আগামী ১ অক্টোবর মুক্তি পাবে এই গান। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ জারি। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পীরাও। এই গান প্রকাশের পরে সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা? মনোময় ভট্টাচার্য বলেছেন, “উৎসবে না ফেরা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তার প্রভাব শিল্পীদের উপরেই পড়েছে। বেশ কিছু অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। অনু্ষ্ঠানের জন্য জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু গায়ক-গায়িকা নন, সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই অসুবিধের মধ্যে পড়েছেন। পুজোর সঙ্গে তো আর্থিক বিষয় থাকেই। আর যাঁরা সমাজমাধ্যমে সমালোচনা করেন তাঁদের নিয়ে আমার কোনও উদ্বেগ নেই।”

গায়ক বলেন, “সবাই কাজ করছেন। কেন বিনোদন জগতেই বা প্রভাব পড়বে! মন নিশ্চয়ই ভারাক্রান্ত। এই মন নিয়েই আমরা প্রতিবাদ করব। এটা আমাদের রোজগার। যাঁরা ট্রোল করেন তাঁদের কথায় গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই কারণ তাঁরা কেউ টিকিট কেটে অনুষ্ঠান দেখতে আসেন না। তাঁদের কাজই নেতিবাচক কথা বলা।”

এই প্রসঙ্গে মেখলা বলেন, “যা ঘটেছে, আমাদের কারও মন ভাল নেই। কিন্তু কাজ তো করতেই হবে। আমি নিজের মতো করে প্রতিবাদ করেছি। আমাদের মিউজ়িক ভিডিয়ো শুটিংয়ের সময়েও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সব সময় তো মুষড়ে পড়তে পারি না। খালি পেটে বিপ্লব হয় না। আবার সব সময় দুঃখী হয়েও প্রতিবাদ করা যায় না। সব সময় কেঁদে প্রতিবাদ করা যায় না। অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েও প্রতিবাদ করা যায় মঞ্চ থেকে।”

এই গানটি লিখেছেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়, সুর দিয়েছেন শোভন। দেবী দুর্গার আগমন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় তুলে ধরা হয়েছে এই গানের ভিডিয়োয়। একটি রাজবাড়িতে এই গানের ভিডিয়োর শুটিং হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement