বড় পর্দায় ফিরছেন কৌশানি মুখোপাধ্যায়। রিনো দত্তের আগামী ছবি ‘সুপারম্যান’-এ। সেখানেই বহু দিন পরে ফের বনি সেনগুপ্তের সঙ্গে দেখা যাবে তাঁর জীবন-নায়িকাকে। বাস্তবে বনির জীবনে কী ভূমিকা কৌশানির? প্রেমিকের রাজনীতিতে আসা, বিজেপি-ত্যাগের পিছনেও কি তাঁরই হাত?
পর্দাতেও বনির সঙ্গেই প্রেম করবেন কৌশানি
রাজনীতিতে নাকি অরুচি। অভিনয়ও নাকি না-পসন্দ! খুব শিগগিরিই পেশা বদলাচ্ছেন কৌশানি মুখোপাধ্যায়।
এ বার কোন পেশায়? ফোন ধরেই আনন্দবাজার অনলাইনকে সপাট জবাব নায়িকার, ‘‘খুব শিগগিরিই আপনাদের পেশায় আসতে চলেছি। আর আমায় প্রশ্ন করতে পারবেন না। এ বার এই কাজটাই করব আমি, আপনাদের।’’ টলিউডেও কৌশানির পেশাবদলের খবর ছড়িয়েছে। তবে একটু অন্য ভাবে। শোনা যাচ্ছে, সাংবাদিক হিসেবে নায়িকা বড় পর্দায় ফিরতে চলেছেন। রিনো দত্তের আগামী ছবি ‘সুপারম্যান’-এ। সেখানেই বহু দিন পরে ফের বনি সেনগুপ্তের সঙ্গে তাঁর জীবন-নায়িকা।
নতুন ভূমিকা পেয়েই নাকি নড়ে বসেছেন অভিনেত্রী। নতুন করে নিজেকে ঘষামাজাও শুরু করেছেন। কী কী করছেন সেনগুপ্ত পরিবারের হবু বউমা? কৌশানীর জবাব, ‘‘সাংবাদিক বন্ধুদের খুঁটিয়ে দেখছি। ওঁদের কথাবার্তা, চলাফেরা নজর করছি। আমার সাজেও সেই বৈশিষ্ট্য আনার চেষ্টা করব। যেমন, আচমকা কোনও ঘটনা রিপোর্ট করতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকেরা নিজেদের পরিপাটি করার সময় পান না। চোখে কাজল, ঠোঁটে গ্লস কিচ্ছু থাকে না। আমিও সে ভাবেই নো-মেকআপ লুকে ধরা দেব। চুল হয় খোলা, নয়তো তুলে পনি করা থাকবে। চরিত্র অনুযায়ী একটু মফস্সলের মেয়ে। তাই ঝাঁ-চকচকে ব্যাপারটা কম রাখারই চেষ্টা করব।’’
গ্রামের একটি ছেলে অতিমারির সময়ে কী ভাবে সবার পাশে দাঁড়িয়ে সুপারম্যান হয়ে উঠবে, সেই গল্পই থাকবে রিনোর ছবিতে। এই পুরুষের জীবনে দুই নারী গুরুত্বপূর্ণ। এক জন তাঁর প্রেমিকা। সেই ভূমিকায় ঈশানী। দ্বিতীয় জন সাংবাদিক বন্ধু। কৌশানি থাকছেন সেই চরিত্রেই। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ত্রাতা হতে গেলে অনেক ধাপ পেরোতে হয়। অনেক যোগাযোগ তৈরি করতে হয়। কাজের প্রচারের প্রয়োজন হয়। পর্দায় বনির জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে সেটাই করব।’’
বাস্তবে বনির জীবনে কী ভূমিকা কৌশানির? রাজনীতিতে আসা, বিজেপি-ত্যাগের পিছনেও কি তাঁরই হাত?
কৌশানির দাবি, ‘‘২০১৫-র বনিকে যাঁরা চেনেন ২০২২-র বনিকে তাঁরা মেলাতে পারবেন না। চলনে-বলনে-মননে আকাশ পাতাল পার্থক্য। সবটাই নিজে থেকে হয়ে গিয়েছে? বোধহয় না। এর অনেকটা জুড়ে আমি রয়েছি।’’ পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, তার মানে এ-ও নয় যে, বনি কৌশানীর কথায় ওঠাবসা করেন। নিজের মতে নিজের পথেই চলেন তিনি। তবে পরামর্শ চাইলে মতামত দেন কৌশানি। ভাল-মন্দ নিয়ে আলোচনা করেন। একই কথা রাজনীতি নিয়েও। বনি রাজনীতিতে আসছেন, বিরোধী দলে যোগ দিচ্ছেন— সে খবর নাকি জানতেনই না কৌশানি! স্বাভাবিক ভাবেই, বনি বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে তিনি প্রশ্নের বন্যায় হাবুডুবু খেয়েছেন। নির্বাচনের পরে প্রেমিকের দলত্যাগও নাকি তাঁরই মর্জিমাফিক। অভিনেত্রীর মতে, এখানেও তাঁর কোনও হাত নেই। তবে তিনি শাসক দল বা রাজনীতি কোনও ভাবেই ছাড়ছেন না, এটায় কোনও দ্বিমত নেই।