নিশা-কাজল। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দু’দশকের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন কাজল। হিন্দি সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কৃতিত্ব কম নয়। বহু বছর দাপিয়ে কাজ করেছেন বিভিন্ন ব্লকবাস্টার ছবিতে। তবে বিয়ের পর স্বেচ্ছায় খানিকটা দূরে সরে যান গ্ল্যামারের চাকচিক্য থেকে। ছেলে যুগ ও মেয়ে নিসা বড় হওয়ায় ফের বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। সদ্য ওটিটির জগতে পা রেখেছেন তিনি। শনিবার ৪৯-এ পা দিলেন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে কাজ নিয়ে ব্যস্ত বেজায় কাজল ও তাঁর স্বামী অজয় দেবগন। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই তারকা। তবে এই মুহূর্তে তাঁদের মেয়ে নিসা দেবগন কম যান না। অভিনয় জগতে পা না দিয়েই চর্চিত নিসা। সারা ক্ষণই রয়েছেন প্রচারের আলোয়। কখনও চর্চা হয়েছে কাজল-কন্যার গায়ের রং নিয়ে, কখনও নিন্দকদের চক্ষুশূল হয়েছে তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন। রাতের পার্টি থেকে সাজপোশাক— সব নিয়েই কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে। সর্ব ক্ষণই মেয়েকে নিয়ে নানা মন্তব্য কানে যায় কাজলের। ছেলে যুগ অবশ্য এখনও বয়সে অনেকটা ছোট। তবু রেহাই নেই। হামেশাই ছেলেমেয়েকে নিয়ে কদর্য মন্তব্যের মুখে পড়তে হয় কাজলকে। তাই এ সবের ঝক্কি সামলাতে ছোট থেকে ছেলেমেয়েকে কী উপদেশ দিয়েছেন অভিনেত্রী?
এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, ‘‘আমি আমার ছেলে-মেয়েকে ট্রোলিং বিষয়টায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে বারণ করি। ইউ হ্যাভ টু টেক ইট উইথ আ পিঞ্চ অফ সল্ট।’’ অভিনেত্রী বিশ্বাস করেন, এই সব কটাক্ষ কানে তোলার মানে নেই। প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। কারণ, রোজই কিছু না কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে। কেউ না কেউ কিছু বলবেই।
কাজল জানান, ছোট থেকেই তিনি ছেলেমেয়েকে শিখিয়েছেন সমাজমাধ্যমে সব মন্তব্য গুরুত্ব না দিতে। তিনি চান, কুমন্তব্যে কান না দিয়ে তাঁরা যেন নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করে নিজস্ব মতামত তৈরি করেন।
শেষে অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘‘আমি তো অবাক হয়ে যাই এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য দেখলে। মানুষ কী পরছেন, সেই নিয়ে এত কথা! আমি জানতে চাই এই ধরনের মন্তব্য কারা করেন?’’ অতীতে মেয়েকে নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন অজয় দেবগনও। তিনি বলেছিলেন, “প্রত্যকের ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। বাইরে থেকে দেখে কাউকে বিচার করা সহজ। আদতে ক’জনের সত্য জানার ইচ্ছে রয়েছে?”